উন্নত চিকিৎসা আর পর্যটনের জন্য সাশ্রয়ী দেশ ভারত। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষেই রয়েছে সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া। পশ্চিমবঙ্গ আর কুষ্টিয়ার কৃস্টি-কালচারও অনেকটাই কাছাকাছি। কিন্তু বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মানুষদের ভারতীয় ভিসার আবেদন করতে পদে পদে পোহাতে হয় পাহাড়সম দুর্ভোগ।
বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ১২টি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) রয়েছে। সাধারণত বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মানুষ যশোর, খুলনা ও রাজশাহীর আইভ্যাকে আবেদন করে। ট্যুরিস্ট (টি) ভিসা ব্যতীত সব ধরণের ভারতীয় ভিসা ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে কোন অনলাইন সাক্ষাতের তারিখ ছাড়া গ্রহণ করা হয়।
কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ি জেলার মানুষ ভিসার আবেদন করতে ধরনা দেয় যশোর, রাজশাহী কিংবা খুলনায়। এসব কেন্দ্রের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতে চলে যায় অর্ধেক দিন। পরে দীর্ঘ লাইনের সাথে তাল না মেলায় থাকতে হয় আবাসিক হোটেল কিংবা কোন আত্মীয়ের বাড়ি। যাদের আত্মীয় নেই তাদের অবস্থা আরো করুণ।
তবে ভিসা আবেদনকারীদের অধিকাংশই শারীরিক অসুস্থতজনিতরা। পরদিন আযানভোরেই লাইনের জন্য যেতে হয় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে। ততক্ষণে লাইনে জমে যায় আরো একশ মানুষ। তারপর সকাল ৯টায় শুরু হয় ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া। কেন্দ্র থেকে ভালোই ভালোই ছেড়ে দিলে তো কোন সমস্যাই নেই। কিন্তু আবেদনপত্রে কোন অসাদৃশ্যতা বা ভুল ধরা পড়লে কেটে যায় আরো একদিন।
ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় ৬০০ টাকা খরচ হলেও থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের জন্য লেগে যায় আরও তিনহাজার টাকা। এ এলাকার মানুষের দাবি কুষ্টিয়াতে যদি একটি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমবে শতগুণ।