প্রতিদিন প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়লেও কমতেই অাছে চামড়ার দাম । গত ৩০ বছর পূর্বে যে, চামড়ার দাম ছিলো হাজার ১২ শত টাকা। এখন সেই চামড়ার দাম মাত্র ৬০/৭০ টাকা। ক্ষুদ্র – ব্যবসায়ীদের ব্যবসা হলেও কোরবানির চামড়ার মুল্য কম হওয়ায় ঠোকানো হলো এতিম, দুস্থ ও গরীবদের।
এদিকে কোরবানী পশুর চামড়ার মূল্যে এতোটাই কম হয়েছে যে একটু পশুর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হয়েছে গাড়ি ভাড়া। তাই কুষ্টিয়াসহ অনেক এলাকায় কোরবানীর পশুর চামড়া মাটিতে পুতে দিয়েছে অনেকেই!
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, গরুর মাংস ১ কেজি ৫ শত ৫০ টাকা। ছাগোলের মাংস ৭ শত ৫০ টাকা। গরু- ছাগোলের খাদ্য গমের ছাল অার এ্যাংকারের ভুসি যার প্রতি কেজির দাম ৩৫ টাকা। বিছিলীর দাম কম নয়। অার চামড়ার মূল্য ছাগোলের পতি ফিট ২০ টাকা। গরুর চামড়া প্রতি ফিট ৪০ টাকা সরকারী নিধারন মুল্য। ২ কেজি গমের ছালের দামে, ১টি ছাগোলের চামড়ার দাম।
কবুরহাট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা কোরবানীর পশুর চামড়া শহরে নিয়ে এসে বিকি করতে গেলে একটি চামড়ার দামের চেয়ে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ লেগেছে । তাই অনেকেই রাগে ক্ষোভে কোরবানীর চামড়া মাটি খুঁড়ে পুতে দিয়েছে।
এদিকে ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলা পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত বছর সর্বনিম্ন রেকর্ড দরে চামড়া ব্যবসায়ীরা কোরবানিরর পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন ক্রেতাদের কাছ থেকে। এবারও সরকারি ভাবে চামড়ার দাম বেঁধে দেওয়া হলেও কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় চামড়া ক্রয় করছেন। এবছরে চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেক কোরবানীর চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়া বেশ কয়েকজন চামড়া ব্যাবসায়ী বলেন অামরা ঈদের দিন ও পরের দিন সকাল বেলা দোকান খুলে বসে ছিলাম চামড়া ক্রয়ের জন্য কিন্তু বিক্রেতা নেই। দাম কম হওয়ায় ভ্যান রিক্সা ভাড়া করে বিক্রেতারা চামড়া বিক্রয় করতে অাসছে না।