যশোরের চৌগাছায় এক গৃহবধূর ‘পলিথিনে মোড়ানো লাশ’ দাফনের ১১ দিন পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে সদর উপজেলার ইছালি এলাকার জলকর গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহবধূর নাম সাথী খাতুন। তিনি উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, গত ১৪ জুলাই সাথী বাইরে কাজে যাচ্ছি বলে বের হয়ে আর ফিরেননি। এরপর ২৯ আগস্ট রাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজ এলাকা থেকে পলিথিন মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৩০ আগস্ট সাথীর বাবা আমজেদ আলী লাশটি তার মেয়ের বলে সনাক্ত করে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরইমধ্যে গোপন সূত্রে জানতে পারে সাথী হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি। তিনি জীবিত আছেন এবং প্রেমিক মান্নুর ধর্ম পিতা সদরের ইছালি এলাকার জলকার গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি অবস্থা করছেন।
এসআই আমিরুজ্জামান আরো জানান, সাথীকে উদ্ধারে ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে। সাথী পুলিশকে জানিয়েছে পুলিশ ও এলাকাবাসীর চোখ ফাঁকি দিতে এই হত্যার নাটক সাজানো হয়।