এই ঘটনা টা ঘটিয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দী ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত সামাদ মোল্লার ছেলে তফসের মোল্লা (৬৫) নামের এক ব্যক্তি।
তার ৩ মেয়ে এক ছেলে। ছেলে মালেয়েশিয়া প্রবাসী ৩ মেয়ের ভাল বিবাহ হয়ে গেছে। ১২ বছর আগে মারা গেছে তফসের মোল্লার স্ত্রী। তফসের মোল্লার বাড়ির পাশ দিয়ে দহখোলা মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করে নানা বাড়িতে থাকে একটি মেয়ে। মেয়েটির নানা প্রতিবন্ধী জন্মের পর বাবা খোঁজ খবর নেই না। মা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে।
পাশের বাড়ির রিবা তার বান্ধবী। মাঝে মাঝে বান্ধবীর বাড়ি যায়। সেই সুযোগ নেয় তফসের। টাকা দিয়ে পটিয়ে ফেলে রিবা ও তার মা কমলা কে। রিবা খবর দেয় ঐ মেয়েটিকে বাড়িতে। তার আগেই রিবাদের ঘরের মধ্যে বসে ছিল তফসের। রিবাদের ঘরে যাওয়ার সাথে সাথে রিবা বাহির থেকে ঘরের শিকল আটকে দিয়ে বলে ঘরের মধ্যে যা কিছু হবে তা বাহিরে বললে তোর ছোট্ট বোন কে বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলা হবে। এই সুযোগে তফসের ধর্ষণ করে মেয়েটিকে।
সে দিন ছিল জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ। ঘটনা কাউকে বলতে সাহস পায় না। ঘটনার প্রায় ৫ দিন পর আবার একদিন ঠিক একই ভাবে ধর্ষণ করে । কয়েক মাস পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি তখন ঘটনা নানিকে বলে। নানি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে ৬ মাসের গর্ভবতী। দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার। গ্রামের প্রধানরা কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
ঘটনা শুনে মেয়ের মা ঢাকা থেকে ফিরে এসে অবশেষে মাগুরা কোর্টে মামলা দায়ের করে। মেয়েটি যে বাড়িতে বসবাস করে তার এক ঘর ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে বাকি টুকু মাগুরা জেলার মধ্যে। সরেজমিনে গেলে জানাযায় মামলা হওয়ার পর ধর্ষণের সহযোগী পাতা মোল্লার স্ত্রী কমলা ও মেয়ে রিবা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। পালিয়েছে তফসের মোল্লা। তালা মারা পাওয়া গেল কমলার বাড়ি।
সম্পর্কে তফসের মোল্লার ভাইয়ের স্ত্রী জানাল যে সে কুমিল্লা মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছে। তবে ঘটনা শুনেছি সত্য কি মিথ্যা জানি না আল্লহ জানে।
গ্রামের ইউ প সদস্য আলিম উদ্দিন ঘটনার কথা স্বীকার মেয়েটির আগত সন্তানের কথা চিন্তা করে বৃদ্ধার সাথে বিবাহের বিকল্প ভাবতে পারছি না। তবে তারা ভাবছে কোন প্রকারে টাকা পয়সা দিয়ে মিটান যায় কি না। মেয়েটির সাথে কথা বললে সে বলে যে আমার জীবনে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমার তার সাথে বিয়ে না করে উপায় নেই। যদি সে আমাকে বিয়ে করে। কারন আমার পেটে যে সন্তান আছে তার কি অবস্থা হবে? মেয়ের বয়স ১৪। মেয়েটির আগত সন্তানের দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্ন সকলের আর মেয়েটির কি হবে ? যে নিজেই নাবালিকা।
আরও জানা গেছে এই তফসের মোল্লা এর আগে গ্রামেই এক অঘটন ঘটাতে যেয়ে প্রচুর মার খেয়ে জিনে মেরেছে বলে প্রচার চালিয়ে চিকিৎসা হয়। তাছাড়া পাশের গ্রামে এক জনের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে বলে গ্রামের কয়েক জন জানিয়েছে।