রাত পোহালেই কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচন কে ঘিরে শেষ মুহুর্তে প্রচারণা শেষ করে এখন হিসেব নিকেশ কষে চলেছেন প্রার্থীরা।
কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে ভোটার আর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। ইতি মধ্যে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ভোট কেন্দ্রসহ এর আশপাশ এলাকা। কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে জেলা জুরেই সাধারণ ভোটারের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
ভোটার জরিপে দেখা গেছে, মাছ মার্কা প্রতিকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রার্থী মোঃ ইয়াকুব আলী ড্রাইভার এবং মই মার্কা প্রতিকে শাহীন বিশ্বাসের মধ্যকার অনুষ্ঠেয় ভোট যুদ্ধে কে হবেন বিজয়ী এ নিয়েও চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।
রাত পোহালেই শুক্রবার কুষ্টিয়া কলকাকলী স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এদিকে শেষ মুহুর্তে নির্বাচনী এলাকার চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সর্বত্রই ভোটারদের মধ্যে বইছে নির্বাচনী আলোচনার ঝড়। তবে শেষ মুহুর্তে জনমত জরিপে প্রার্থী ইয়াকুব আলী ড্রাইভারের মাছের পক্ষে ৫০ শ্রমিকের মতামত রয়েছে এবং পাশাপাশি শাহীন বিশ্বাসের ৫০% মইয়ের পক্ষে রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন ভোটার তাদের মন্তব্য জানিয়েছেন। এতে দুজনের মধ্যে আড্ডাহাড্ডি ভোট যুদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইয়াকুব আলী ড্রাইভার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিকের ন্যায্য দাবী আদায়ে এ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে সফলভাবে কার্যকরী ভুমিকা রেখে চলেছি এবং শ্রমিকদের কল্যানে নানা মুখী কাজ করে চলেছি। তাই আমাকে পূনরায় নির্বাচিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহীন বিশ্বাস ড্রাইভার বলেন, আমি নির্বাচিত না হয়েও কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক ট্রাংকলরী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকদের সুখে দুখে পাশে থেকেছি এবং যে কোন সমস্যায় শ্রমিকরা আমাকে কাছে পেয়েছেন । তাই এবারের নির্বাচনে আমার মই মার্কায় ভোট দিয়ে মেহনতি ট্রাক শ্রমিক ভাইদের আরো বেশী সেবা করা সুযোগ চেয়ে তিনি সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
শেষ পর্যন্ত ভোটাররা কার গলাই পরাবেন জয়ের মালা তার জন্য অপেক্ষা ভোট প্রদান এবং ঘোষনা পর্যন্ত।