Monday, May 29, 2023
প্রচ্ছদকুষ্টিয়ামিরপুরজনপ্রিয়তার শীর্ষে সফল উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন

জনপ্রিয়তার শীর্ষে সফল উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন

Published on

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৩ সালের ২৪ শে ফ্রেরুয়ারী কামারুল আরেফিন জন্ম । পিতা আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ মোঃ আলাউদ্দিন ছিলেন এলাকার এক প্রাইমারী স্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক । মমতাময়ী মা হাজী খোদেজা খাতুনের স্নেহ, মমতায় বড় হন দুরন্ত বালক কামারুল আরেফিন। ১৯৮০ সালে আমলা সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হওয়ার পরই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আমলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তিনি দু’বছর দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। অন্যায়ের প্রতিবাদী যুবক এবং সমাজ সেবক হিসেবে তখন থেকেই কামারুল আরেফিন এর নাম ছড়িয়ে পড়ে এলাকাতে।

অত্যন্ত বন্ধু বাৎসল্য কামারুল আরেফিন সহপাটিদের নিয়ে এলাকাবাসীর কল্যাণে ক্লাব-পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, ভাঙ্গারাস্তা মেরামত ইত্যাদি কাজ করে তিনি ছোট বেলা থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন । এইচএসসি পাশ করার পর তিনি মেহেরপুর কলেজে ভর্তি হন বিএসএস-এ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা থাকা এবং রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারণে কামারুল আরেফিন ছাত্র সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। কৃতিত্বের সাথে বিএসএস পাশ করার পর তিনি ফিরে আসেন এলাকায়। মনোনিবেশ করেন ঠিকাদারী, গার্মেন্টস ব্যবসা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে।

১৯৯৪ সালে তিনি মিরপুর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগনিক সম্পাদক ও ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই সালে তিনি বিপুল ভোটে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি তার নির্বাচনী ওয়াদা পুরণ করতে যেয়ে এলাকাবাসীর সাথে নিয়ে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য মিরপুর থেকে সন্ত্রাস দমনে নেন কঠোর পদক্ষেপ ।

দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সন্ত্রাস দমনের মহানায়ক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাজী মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি নির্দেশে কামারুল আরেফিন সন্ত্রাস দমনে অগ্রসর হন। আর এতেই তার উপর ক্ষুদ্ধ হয় চরমপন্থী- সন্ত্রাসীরা। জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে চরমপন্থী-সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করার জন্য শুরু করে ষড়যন্ত্র । সদরপুর ও আমলা বাজারের দুটি জনসভায় তাঁর উপর চালানো হয় বোমা হামলা। দু’বারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান অল্পের জন্যে আল্লাহ্কে অশেষ ধন্যবাদ। ৪ দলীয় জোট সরকারের বিরোধীতা করার জন্য তাঁর উপর নেমে আসে অত্যাচারের ষ্ট্রীমরোলার। হত্যাসহ অজস্র পেনডিং মামলা দিয়ে তাঁকে নাস্তানাবুদ করা হয়। মিথ্যা মামলায় তিনি জেলে যান দু’বার।

মজার ব্যাপার হলো কোন মামলাতে তিনি এজাহার ভুক্ত আসামী ছিলেন না । যে কারণে সকল মামলা থেকে তিনি বেকসুর খালাস পান। একের পর এক মামলা হামলার কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

২০১৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাচনে তিনি ৮৯,৪৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি’র প্রার্থী আব্দুল হক । তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৪৪,৩৩৫টি। ওই নির্বাচননিয়ে চরম আশংকা ছিল যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কামারুল আরেফিন প্রভাব খাটিয়ে ভোট তার পক্ষে নেবেন। কিন্তু কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলালহোসেন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে বলেন, মিরপুর উপজেলা নির্বাচনে সব চেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পেরে আমি খুশি।

২০১৪ সালের ২রা এপ্রিল শপথ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে কামারুল আরেফিন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মিরপুরবাসীর সেবা দান শুরু করেন।

তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলজিইডির সহযোগিতায় ১৩২ কি:মি: পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ১৪৪টি রাস্তার কাজ প্রায় সমাপ্ত। ১২টি প্রাইমারী স্কুল, ৪টি মাধ্যমিক স্কুলসহ ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংষ্কার কাজ করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৩টি ব্রীজ নির্মাণ ও ১২৮ কি:মি: জিকে খাল খনন করিয়েছেন।

উপজেলা কমপ্লেক্স ও মিরপুর থানা ভবন নির্মাণ কাজ, বিএডিসির মাধ্যমে ১৩৬ কি:মি: ডোবা-মজা খাল খনন, ৪০টি রেগুলেটর নির্মাণ,দুই শতাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

তিনি তাঁর দায়িত্বকালে ৬শ জনেরও অধিক গরীব দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে টিউবওয়েল, ২৫০ জন বিধবা নারীর মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করেছেন।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি খেলার সামগ্রী প্রদান করেছেন। ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৪৫১জন বীরমুক্তিযোদ্ধা, ৩৩৩৫ জন বিধবা,৭,৩০৫জন বয়স্ক ব্যক্তি,১৫২০জন প্রতিবন্ধী,৩৫৮জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন হিজড়া,৩১জন হরিজন মাঝে তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করে থাকেন। তাঁর দায়িত্বকালীন সল্প সময়ে ৪টি ইউনিয়ন ভবন নির্মাণ ও ৩১২ কি:মি: বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন।

বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদরাসায় নিজ অর্থায়নে কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেম, ড্রামসেট প্রদান করেছেন। খেলাধুলার মানউন্নয়নে কুষ্টিয়ায় প্রথম উপজেলা গোল্ডকাপ আয়োজনের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে সারা ফেলেছেন। সাঁতারে বরাবরের ন্যায় মিরপুর উপজেলা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স ভুমিকা নেওয়ায় চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ীরা আজ এলাকা ছাড়া।

২০১৮ সালের মধ্যে তিনি মিরপুরের সকল গ্রামে বিদ্যূৎ পৌছাতে চান। আর এ কারনেই তিনি এখন মিরপুরবাসীর কাছে সব চেয়ে জনপ্রিয় মানুষ।

সর্বশেষ

কুষ্টিয়ায় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৭

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার পর সংঘর্ষে জড়িয়ে অন্তত সাতজন...

কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির মামলায় বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর)...

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একটি শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে...

পাসপোর্ট সংশোধনে সরকারের নতুন নির্দেশনা

এনআইডির তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যুর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট...

আরও পড়ুন

টিউশনি করে গোল্ডেন এ প্লাস পেলেন কুষ্টিয়ার জমজ দুই বোন

সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগী। টিউশনি করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন...

ভারতীয় সিরিয়াল ‘সিআইডি’ দেখে কুষ্টিয়ার ফুল ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব হত্যার পরিকল্পনা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফুল ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব (৫৪) হত্যার পর দ্রুততার সাথে রহস্য উদঘাটন করেছে...

কুষ্টিয়ার মিরপুরে র‌্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ২

কুষ্টিয়ার মিরপুরের কাতলামারী বাজার থেকে ইয়াবাসহ টুটুল হোসেন (২২) ও তৌফিক রানা সিয়াম (২০)...