চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শাপলা ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাচ্চা প্রসবকালে চিকিৎসকের অস্ত্রপাচারে মারা যায় ওই প্রসূতি। এরপর চিকিৎসক সবকিছু ফেলে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় একটি প্রভাবশলী মহল ক্লিনিক থেকে প্রসূতির লাশ নিয়ে যেতে বাধ্য করে রোগী স্বজনদের।
বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের দরিদ্র শ্রমজীবি আনিসুর রহমানের স্ত্রী লাবনী খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে শাপলা ক্লিনিকে নিয়ে আসে। এরপর রাত আটটার দিকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা চুক্তিতে ডেলিভারি অপারেশন করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার নুপুর। এ সময় ভুল অপারেশনে প্রসুতি মারা গেলে লাশ ফেলে দ্রুত সটকে পড়ে ডাক্তার নুপুর। এরপর রোগীর স্বজনরা লাশ নিয়ে ক্লিনিকের সামনে আহাজারি করতে থাকে। এক পর্যায়ে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ আসলেও কার্যত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ক্লিনিকের সামনে থেকে নিহত প্রসূতির লাশটি দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যেেত বাধ্য করে স্বজনদের।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান জানান, এ ঘটনায় ক্লিনিক ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাবনী খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া কন্যা সন্তানটি বেঁচে আছে।