কোরবানির ঈদ সামনে, লবণের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের সাথে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন কুষ্টিয়া চামড়া পট্টির ব্যবসায়ীরা। তবে লবণের দাম নিয়ন্ত্রণ ও চামড়া পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
গত ১৫ দিনে কুষ্টিয়ার বাজারে লবণের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে কুষ্টিয়ায় দৌলতপুর উপজেলায় ৪৬ কিলোমিটার ভারতের সীমান্ত রয়েছে যার অধিকাংশ পদ্মা নদীবেষ্টিত এবং বেশির ভাগ জায়গায় কাঁটাতারের পিলার নেই, যে কারণে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি চামড়া মালিক সমিতির দাবি, চামড়া সঠিকভাবে কিনতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস কোরাইশী বলেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যাতে চামড়া ক্রয় করে অন্যত্র কিছু করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমরা কাজ করব।
পুলিশ বলছে, সীমান্তে চামড়াবাহী কোন যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। আর জেলা প্রশাসক জানালেন, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের দ্বারা জনস্বার্থ বিঘ্নিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহির বলেন, কোরবানি পরবর্তীতে অন্তত তিন থেকে চার দিনের মধ্যে যাতে চামড়াবাহী গাড়ি সীমান্ত পাড় হওয়ার মতো কোনো অবস্থায় যেতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, চামড়াকে প্রক্রিয়া করার জন্য যে লবণের প্রয়োজন সেটি যাতে কোনো সিন্ডিকেটের হাতে না যায় আমরা সবকিছু নজরদারিতে রাখব।
কুষ্টিয়া চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য মতে, জেলায় ৫৭ টি চামড়ার আড়ৎ রয়েছে। যা থেকে গত বছর ৪৬ কোটি টাকার চামড়া ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঠানো হয়।