সরকারি হোক বা বেসরকারি দপ্তর, মহিলাদের যৌন হেনস্থার ঘটনা খুবই পরিচিত। অনেক সময়ই মেয়েরা চাকরি হারানোর ভয়ে বা অন্য কোনও কারণে যৌন হেনস্থার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে চায় না। এবার তারই বিরুদ্ধে কড়া হতে চলেছে আইন।
নতুন দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুসারে, কোনও অফিসে চাকরি চাইতে যাওযার জন্য যৌন আবেদন বা মহিলাকে কোনও কুপ্রস্তাব দেওয়া দু’টোই দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তের সাত বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
২০১৮-এর দুর্নীতি দমনের সংশোধনী বিল অনুসারে, অফিসের কাজ আদায় বা গাফিলতি ঢাকতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ‘ঘুষ’ দেওয়ার পথ বাছেন কর্মচারীরা। তবে এ ক্ষেত্রে টাকা নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘ঘুষ’ হিসেবে যৌনতা-কে সংশোধনী বিলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাত্, অনেক সময়ই অধঃস্তন মহিলা কর্মীকে বাধ্য করা হয়, বা কখনও স্ব-ইচ্ছাতেও সেই কর্মী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। যা প্রমাণ হলে সেই কর্মী ও উর্ধ্বতন দু’জনই শাস্তির মুখে পড়বেন।
আইন অনুসারে থানায় এই আইনকে হাতিয়ার করে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। সংশোধিত আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে কাজের জায়গায় যৌন আবেদন বা হেনস্থা কোনওভাবেই কাম্য নয়। শুধু তাই নয়, নতুন বিল অনুসারে, অফিসের কোনও কর্মচারীর কাজে খুশি হয়ে তাকে ব্যক্তিগত ভাবে বড়সড় উপহারও দিতে পারবেন না শীর্ষ আধিকারিক। বড়সড় উপহার অর্থাত্, সম্পত্তি কিনে দেওয়া, বিদেশ ভ্রমণের মত বিষয়গুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের ঘুষ মামলায় সাজা দিতে আইন করে। আগে ঘুষ দিলে সাজা হতো না। তবে নতুন আইনে সেই সংস্থান যুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনের ফলে সব ধরনের অবৈধ লেনদেনকে আতসকাঁচের তলায় আনা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কোনও রকম অস্পষ্টতা না রেখেই শাস্তির বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ফলে এতে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।