কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আল্লারদর্গা হলুদবাড়ীয়া গ্রামের মৃত সাঈদ মাষ্টারের ছেলে মহাবুর (৩৫) পরকিয়া প্রেমে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে গোপনাঙ্গে প্রেমিকার কামড়ে মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, এলাকার দৌলতখালী গ্রামের ইয়ার আলির মেয়ে ও মিরপুর গ্রামের আনারুলের পরিত্যাক্তা স্ত্রী মাসুরার সাথে যুবক মহাবুরের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল, মাসুরা মিরপুর গ্রামের বাড়ীর জমি জায়গা ও স্বামীকে তালাক দিয়ে দাঁড়পাড়া গ্রামে দোলা ভাই প্রবাসী মউদুদের বাড়ীতে বোন জমিলা ওরফে জেবা তন্নির কাছে থাকতো।
বাদী এজাহারে মাসুরা (৩৬), মাসুরার বোন জামিলা (৪০), জামিলার ছেলে ইমন(২০), জামিলার ভাসুর ওয়াদুদ ওরফে টাইগার (৫২) কে আসামী করে মামলায় উল্লেখ করেন মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় আসামী মাসুরার ফোন পেয়ে আমার ভাই হাবিবুর রহমান দেখা করতে দাঁড়পাড়া গ্রামে জামিলার বাড়ী যায়।
সেখানে আসামীরা মাসুরার সাথে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে, বিয়েতে রাজী না হওয়ায় হাবিবুর কে তারা চিৎ করে শুয়ায়ে তার প্যান্ট খুলে নিয়ে গোপনাঙ্গে প্রথমে কাঁমড়ে দেয় পড়ে ব্লেড দিয়ে এক তৃতীয়াংশ কেটে দেয় এবং ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
এক পর্যায়ে হাবিবুর তার মার কাছে ফোন করলে বাদী ও আত্বীয় স্বজন উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোঁছালে তার রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে মাইক্রোতে যাওয়ার পথে বিষয়টি হাবিবুর তার ভাই বাদী মাহাবুর কে অবগত করে।
পুলিশ বুধবার সকালে মামলা রেকড করে আসামীর স্বীকারোক্তি জবান বন্দী রেকড করেছে। এদিকে হাবিবুরের লাশের ময়না তদন্তের পর বুধবার বাদ আসর স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।