মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে মনোরুদ্দীন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ৫ সন্তানের জনক মনোরুদ্দীন কল্যাণপুর গ্রামের কালিতলা পাড়ার মৃত নিহার ফকিরের ছেলে। নিহত মনোরুদ্দীন পেশায় একজন লাঙ্গল তৈরীর কারিগর।
এ ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মনোরুদ্দীনের বড় ছেলে সিফাতুল্লাহ (৩৭), প্রতিবেশী সানাউল্লাহর ছেলে মুকুল হোসেন (৩০) ও আব্দুল মজিদের ছেলে কাবের আলীকে (৩৫) থানা নেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে মনোরুদ্দীনকে নিজ ঘরের (পিঁড়ি) বারান্দায় গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত মনোরুদ্দীনের বড় ছেলে সিফাতুল ইসলাম জানান,আমি রাতে ঘরের ছাদের উপর শুয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে বাড়ির মধ্যে থেকে ৪জন ব্যক্তি পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারি। ইটের আঘাতে একজন পড়ে গিয়েও পালিয়ে যায়। পরে ছাদ থেকে নিচে এসে গুঙোনি শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে বাবার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এ সময় আমি চিৎকার দিলে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জেগে উঠে। পরে প্রতিবেশীরাও টের পেয়ে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত মনোরুদ্দীনের ছোট ছেলে জিয়ারুল ইসলাম জানান, আমার বাবার সাথে কারোর বিরোধ ছিলো না। কারা হত্যা করেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান- বুধবার সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে বিকেলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে নিহত মনোরুদ্দীনের বড় ছেলে সিফাতুল্লাহসহ আরো ২জন প্রতিবেশীকে থানায় নেয়া হয়েছে। হত্যাকারীদের সনাক্ত করে অতি দ্রুত আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।