মেহেরপুরের গাংনীতে চিকিৎসকের অবহেলায় পাতানী খাতুন (৭০) নামের এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। ৭ সন্তানের জননী পাতানী খাতুন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া পাতানী খাতুনের বড় ছেলের স্ত্রী বিলকিছু খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে আমার শাশুড়ী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত গাংনী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় ডাক্তারকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বলা হলে করোনা রোগী সন্দেহে তারা দীর্ঘক্ষণ যাবত চিকিৎসা না দিয়ে রোগীর কাছ থেকে সরে ছিলেন। অনেক অনুরোধ করার পর একজন চিকিৎসক এসে দায়সারাভাবে রোগী দেখে কুষ্টিয়া রেফার্ড করার জন্য বলেন। কুষ্টিয়া নেয়ার আগেই সে মারা যান। ডাক্তারের অবহেলায় আমার শাশুড়ীর মৃত্যু হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলম জানান রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। দায়িত্বরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ভেবে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। তবে রোগীর স্বজন তাকে কুষ্টিয়া নিয়ে যেতে বিলম্ব করায় মারা গেছে। তার স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য,আনুমানিক ১৫দিন আগে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ওই সময় ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে।