কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ম সাময়িক পরীক্ষা সামনে রেখে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সার্বজনিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করতে বর্তমান সরকারের নানা বিধ উন্নয়ন প্রকল্প উপেক্ষা করে খোকসা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে উপজেলার ১৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ম সাময়িক পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত সেশন ফি পরীক্ষা ফি ও ভর্তির জরিমানা ফি’র নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের স্থানীয় অভিভাবকগণ।
উপজেলার পৌরসভার মধ্যে খোকসা-জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খোকসা-জানিপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ নামি দামি বেশ ক’য়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
অভিভাবকগণ টাকা দেওয়ার রশিদ সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করার সময় একদফায় সেশন ফি দিয়ে ভর্তি করালেও ১ম সাময়িকী পরীক্ষার আগে আবার সেশন ফি সহ ভর্তী বিলম্ব ফি নামে ৮০ টাকা অভিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে খোকসা-জানিপুর পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী মাষ্টার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ৩ কিস্তিতে সেশন ফী র টাকা নেওয়া হচ্ছে।
ভর্তী বিলম্ব ফি ৮০ টাকার বিষয়ে কোন উত্তর দিতে পারেন নি। এদিকে শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অতিরিক্ত সেশন ফি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ। এ বিদ্যালয়ে গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার ফি বাবদে বাধ্যতা মুলক ৩ শত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ক’য়েক জন অভিভাবক।
জৈনক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি যোগসাজসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা ও বাধ্যতামুলক কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছে।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মারুফ আহমেদের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেশন ফির ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্ধারিত রয়েছে পৌরসভার মধ্যে ১ হাজার টাকার মধ্যে নিতে পারবে, তবে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত যথার্থ সিদ্ধান্ত হবে। মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষার ফি বাবদে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অফিসার বলেন, যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আমাদের উপর নির্ধারিত নীতিমালা না থাকায় আমরা এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে ম্যানেজিং কমিটির যোক্তিক সিদ্ধান্ত যেটা দিয়েছে সেটাই ধার্য হবে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার ৩/৪ টি বিদ্যালয় পরীক্ষাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার কিছু মৌখিক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সুনির্দিষ্ট কোনো লিখিত অভিযোগ না আসা পর্যন্ত আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।