কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ গ্রামের স্বর্গীয় রূপ কুমারের বাড়িতে সমাধি ও কালী মন্দির ভাঙার অপরাধে থানায় মামলা করেছে আশ্রম ভক্ত সমীর বিশ্বাস। সমাধি ও কালী মন্দির ভাঙার অপরাধে গত রাতে (শুক্রবারে) ই খোকসা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দুইজনকে। গ্রেপ্তারকৃত একজন জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার ও ভবানীগঞ্জ গ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে আরিফুল ইসলাম নয়ন, উক্ত আশ্রম এর আংশিক অংশের জমির মালিকের দাবিদার মোঃ বাদশা।
খোকসা থানার মামলার বাদীর ইজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত বছর আগে পাগল স্বর্গীয় রূপকুমারের বাড়িতে একটি আশ্রম খোলেন। রুপ কুমার বেঁচে থাকাকালীন সময়ে ওইখানে একটি কালী মন্দির ও আশ্রমের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই পাগল স্বর্গীয় রূপকুমার ইহধাম ত্যাগ করে পরকালে পাড়ি জমায়। পরে উক্ত পাগলের উত্তরসূরিরা এই আশ্রমটি পরিচালনা করে আসছিল। আশ্রম এর আংশিক জমির দাবিদার মোহাম্মদ বাদশা উক্ত জমিটি বিক্রয় বায়নানামা সূত্রে ১০ হাজার টাকা নিয়ে জমিটি বিক্রয় করে দেয় আশ্রম এর মধ্যে। কিন্তু
রূপকুমার বেঁচে থাকাকালীন সময়ে বাদশা গ্রামের ওই জমিটি আর দেয় নি। পরবর্তীতে ওই জমিকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার আশ্রমের সমাধির দুটি কবর ও একটি কালী মন্দির গুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সেনগ্রাম গ্রামের সুসসান কুমার বিশ্বাসের ছেলে সমীর বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬ তারিখ ১৮-০৫-২০১৯ ইং।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রীতির মেলবন্ধনের একে অপরের সাথে মিলেমিশে বসবাস রত অবস্থায় উস্কানি মূলক ভাবে নয়ন মেম্বার ও বাদশা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নয়ন ও বাদশা কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা তদন্তপূর্বক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য উক্ত আশ্রম ও সমাধিতে মাদক ও অবৈধ কারবার বিষয়ে গত শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় ভবানীগঞ্জ গ্রামের সচেতন নাগরিক ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন অভিযোগ দায়ের করেন খোকসা থানার ওসির কাছে। অভিযোগ দায়েরের ১২ ঘণ্টার মাথায় মন্দির ও সমাধি ভাঙচুরের অপরাধে গ্রেপ্তার হলেন সাবেক মেম্বার ও জমির দাবিদার বাদশা।