আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্যেই আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’ বুধবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ‘সামাজিক অংশগ্রহণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা কি সম্ভব? তার এখন ৭৫ বছরের বেশি বয়স। এই বাস্তবতাটা মেনে নিতে হবে
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরাই তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো বলতে পারেন। তারা (চিকিৎসক) বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা আগে যেমন ছিলো তেমনই আছে। অবস্থার খুব একটা অবনতি ঘটেছে এরকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, মেডিকেল বোর্ডও এমনটা বলেনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ। উনারা (বিএনপি নেতা) কি ভাবেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখন ৩০ বছরের তরুণীর মতো হাঁটা-চলা করবেন? দৌঁড়াতে পাববেন? এটা কি সম্ভব? তার এখন ৭৫ বছরের বেশি বয়স। এই বাস্তবতাটা মেনে নিতে হবে। এই বয়সের কারণেই তার শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন কয়েদি হিসেবে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কারা বিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য নেতিবাচক। দলের অভ্যন্তরীন তাদের নেতারাও ভীত হয়ে এখন দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা পদত্যগ করেছেন। আমরা যতটুকু শুনেছি আরও অনেক শীর্ষনেতা পদত্যগের অপেক্ষায় রয়েছেন। কারণ, যে দলের শীর্ষ নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। আরেকজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক। সেই দলের প্রতি আর কার আশা থাকতে পারে?
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুসতানজিদ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামসহ রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন