প্রথমার্ধে গোলশূন্যে কাটানোর পর দ্বিতীয়ার্ধেই দেখা গেল সাম্বার ব্রাজিলকে। বিরতির পরেই জ্বলে উঠলো ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজে গোল করলেন। আর ৮৮ মিনিটে ফিরমিনহোকে দিয়ে গোল করালেন। এতে শেষ ১৬’র ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল।
প্রথমার্ধে মেক্সিকো আর ব্রাজিলের খেলায় ছিল সমতা। সমানে সমান। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু মেক্সিকোর রক্ষণভাগ আর গোলরক্ষক ওচোয়ার দৃঢ়তায় ব্রাজিলের ক্ষুরধার আক্রমণগুলো শেষ পর্যন্ত দেখেনি গোলের মুখ। ৩৯তম মিনিটে ডি বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। কিন্তু নেইমারের নেয়া ফ্রি কিকটি ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় খানিকটা হতাশই হতে হয়েছিল ব্রাজিল সমর্থকদের। ৪৩তম মিনিটে মেক্সিকান ফরোয়ার্ড কার্লোস ভেলাকে ফাউল করে কার্ড দেখেন মার্সেলোর ইনজুরিতে দলে সুযোগ পাওয়া ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক ফিলিপে লুইস। অবশ্য নেইমারকে ফাউল করে মেক্সিকোর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এডসন আলভারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধেই বিশ্ব দেখলো ব্রাজিলের আসল খেলা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৫১তম মিনিটে উইলিয়ানের বাড়ানো পাস থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নিলেন নেইমার। উইলিয়ানের ক্রসটিকে যেন গোলে পরিণত করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর নেইমার। জেসুসের স্লাইডে বল পায়ে না ঠেকলেও ভুল করেননি নেইমার। অপ্রতিরোধ্য ফিনিশে মেক্সিকান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোল আদায় করে নিয়েছেন পিএসজি তারকা।
৬৩তম মিনিটে মেক্সিকান ফরোয়ার্ডের নেয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে পার করে নিজের জাত চিনিয়েছেন ব্রাজিলিয়ন গোলকিপার এলিসন বেকার। তখনই মিনিটে ব্রাজিলের সামনে আবার সেই ওচোয়ার পর্বত। উইলিয়ানের নেয়া দুরন্ত গতির শটটি ঠেকিয়ে মেক্সিকোকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন মেক্সিকান গোলরক্ষক। ৬৫তম মিনিটে মাঝমাঠে মেক্সিকান খেলোয়াড়দের নির্লজ্জ্ব ট্যাকলের শিকার হন নেইমার। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে পুরো ম্যাচে কৌতিনহোকে তুলে ফিরমিনোকে নামান কোচ। দুই মিনিট পর সেই ফিরমিনোই করলেন ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল। ৮৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দারুণ কাউন্টার এটাকে বল একাই টেনে নিয়ে এগুতে থাকেন নেইমার। ডি বক্সের ভেতর শট নিলেও তা ওচোয়ার পায়ে লেগে প্রতিহত হলেও ফিরমিনো গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ ব্যবধানের জয় এনে দেন।