পুলিশের বাধার মুখে মসজিদে বসে দোয়া মাহফিল ছাড়া আর কোন কর্মসূচী পালন করতে পারিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র নেতা কর্মিরা। তবে কর্মসূচী পালনে ব্যর্থ নেতারা এমনই অভিযোগ কর্মিদের। এ নিয়ে নিতেদের বিরুদ্ধে সাধারণ কর্মিদের ক্ষোভও কমনয়। তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেতা কর্মদের সাথে আলোচনা পর্যন্ত করেনি জেলা বি এন পির নেতারা। কর্মিদের দাবী বিএনপি’র কর্মীর অভাব নেই আছে যোগ্য নেতার।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেন।
এই কর্মসূচী দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় পালন হলেও কুষ্টিয়া ছিলো ব্যতিক্রম। শুক্রবার সকাল থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। রাস্তায় বিএনপির কোন নেতা কর্মিদের চোখে পড়েনি। এছাড়া কোথাও কোন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে দেখা যায় নি।
কয়েকজন কর্মি অভিযোগ করে বলেন, নেতাদের দুর্বলতার কারনে দল আজ সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে। তবে ভালো নেতৃত্ব দানকারী নেতা এখনও যদি না আসে তবে আগামীতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নাম কেউ মুখে আনতে সাহস পাবে না বলে অভিযোগ তুলেছেন কর্মিরা।
এব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা বি এন পির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তা করতে পারিনি। আর সকাল থেকেই অফিসে পুলিশ তালা দিয়ে রেখেছে। তাই কুষ্টিয়া বড় মসজিদে দোয়া করে চলে এসেছি। তিনি বলেন, আমার বাসার সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বি এন পি’র সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন কর্মসূচী পালন করিনি ঠিকই কিন্তু এখনো সময় যায় নি। যে কোন মুহুর্তে কর্মসূচী পালন করা হতে পারে এবং তা জানতে পারবেন।
কুষ্টিয়া জেলা বি এন পির সহসাংগঠনিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এ্যাডঃ শমিম উল হাসান অপু বলেন, আমাদের কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত থাকেলেও সকাল থেকেই পুলিশের বাধার মুখে মাঠে নামতে পারিনি নেতা কর্মিরা। তবে নেতা কর্মিদের সাথে আমাদের সমন্বয় রয়েছে।