পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধে করে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সোমবার সকাল ১১টায় কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার, ক্যান্টিন চালু, খেলার মাঠ সংস্কার ও পরিবহন ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছর অনার্সসহ সব পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা। এ বছর এক লাফেই অধ্যক্ষ তা বাড়িয়ে প্রায় ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। বিভিন্ন ভুয়া ও মনগড়া খাত তৈরি করে এসব অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের কোনো কাজে আসছে না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী জানান, গত বছর আমাদের ফি ছিল ৩ হাজার টাকার নিচে। এবার সেটা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যেখানে বোর্ড ফি মাত্র ৮০০ টাকা সেখানে বিভিন্ন খাতওয়ারি টাকা তোলা হচ্ছে। এটা আমাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। আগে গরীব ছাত্র-ছাত্রীরা কম টাকায় ফরম পূরণ করতে পারতো। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে অর্থ আদায় করছে। যাতে কেউ কম দিতে না পারে।
রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন দাবি জানিয়ে তারা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। শিক্ষার্থীরা সড়কে বসে পড়ায় বন্ধ হয়ে যান চলাচল। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছমাত ফি নির্ধারণ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফি দ্বিগুন করা হয়েছে। কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গরীব। তারা এ অর্থ কিভাবে জোগাড় করবে। এখন আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। ফি প্রত্যাহার না করা হলে প্রয়োজন কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ এম মনজুর কাদির জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকেছেন।