কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে প্রশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় শোক দিবসের চিঠিতে ব্যাজে কালো রঙের পরিবর্তে সবুজ রঙ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে ভাইরাল হয়েছে। নানাজন নানা মন্তব্য করেছে। বিএমএ নেতারাও বিষয়টি শোক দিবসের প্রচলিত রীতির পরিপন্থী বলে স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবসে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে আলোচনা সভা ও র্যালীর আয়োজন করে। এ জন্য কলেজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দাওয়াত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়। সেই আমন্ত্রণপত্রে কালো ব্যাজের ছবি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানে ব্যবহার করা হয় সবুজ রঙের ব্যাজ, যা শোক দিবসের সাথে মেলে না। শোক দিবসের প্রতীক কালো ব্যাজ হলেও এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ ব্যাজের ছবি।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, শোক দিবসের আলোচনা সভায় যে আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয় তাতে ব্যাজে সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছে। কালো রং ব্যবহার না করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ সারা দেশে কালো রং ব্যবহার করা হয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবেও হয়তো এটা কেউ করতে পারে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি দেখে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যকারীদের কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন ২০০৯ সালের আগে ওই ডাক্তার কালো ব্যাজ ব্যবহার করেছেন কি? আবার চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে সবুজ ও সাদা ব্যাজকে শান্তির প্রতীক হিসেবে জাহির করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রগতিশীল ও আওয়ামীপন্থি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করছেন, দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে যে এ কাজ করেছেন তিনি অন্তত আওয়ামী চিন্তা ধারার ধারক বাহক হতে পারেন না।
কুষ্টিয়া জেলা বিএমএ’র সাধারন সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন বলেন,‘ বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। এটি শোক দিবসের পরিপন্থী। তাই বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডেকে এ বিষয় পরবর্তিতে সিধান্ত নেয়া হবে। কারন ইতিমধ্যেই বিএমএ কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা: ইকবাল অর্সনাল অবগত হয়েছেন, তারা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।