কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবাইদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, সাংস্কৃতি রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পৌরসভার মেয়র এই প্রবীন বয়সেও পৌরবাসীর কল্যানে যে সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এতে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। পৌরবাসীকে ভালবেসে এত মানুষকে একত্রিক করে দীর্ঘদনি ধরে তিনি যে বিনোদন দিয়ে আসছে বাংলাদেশের মধ্যে এটি ব্যতিক্রম আয়োজন।
তিনি আরো বলেন, পৌরবাসীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সুস্বাস্থের সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য বর্জ্য ব্যবস্থপনা ও ট্রাক স্ট্যান্ড এর জন্য একটি নির্দ্দিষ্ট জায়গা অতীব জরুরী এ ব্যাপারে আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ৯ম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসব কথা বলেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ রওশন আরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র-১ আলহাজ¦ মতিয়ার রহমান মজনু। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ রওশন আরা বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী’র মত সৃজনশীল মনের মানুষ আমি এই জেলাতে কম দেখেছি। তিনি আরো বলেন, পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে পরোক্ষভাগে আমরা কাজ করে থাকি। এই পৌরসভা শুধু পৌরবাসীর স্বাস্থ্য বিষয়ে নয়, শিক্ষা সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রিয়া সহ নানামুখি কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মনুষত্যকে বিকশিত করার কাজ করে যাচ্ছেন পৌর পরিষদ।
আলোচনা সভায় আলোচকের বক্তব্যে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতির আলম আরা জুঁই বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আমার ভাসুর ম, আব্দুর রহিম। তারপর হতে পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে প্রায় তেইশ বছর যাবৎ মেয়র আনোয়ার আলী পৌরবাসীর কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। এই পৌর পিতা আনোয়ার আলী আমার বড় ভাগ্নে। আমাদের পরিবার প্রায় ৩০ বছর ধরে পৌরবাসীর সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারকে পৌর সেবা করার দায়িক্ত দেওয়ায় পৌরববাসীর প্রতি আমরা সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, পৌরসভার ৩টি বিভাগ- প্রকৌশল বিভাগ, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এছাড়াও একটি কল সেন্টার/তথ্য কেন্দ্র, ১টি নারী কর্ণার এর মাধ্যমে পৌরবাসীকে সেবা প্রদান করে থাকি। তিনি আরোও বলেন,এই বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে পৌরসভাকে সহযোগিতা করার জন্য পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা শেষে সুরসপ্তক একাডেমি এবং শিল্পী সুমি শবনম একক গানের মধ্যদিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। পরে গাজীর গান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহর পরিকল্পনাবিদ রানভির আহমেদ এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইসলাম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি