কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তির আলোচনায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার এই কুষ্টিয়া জেলার মাটিতে অনেক জ্ঞানী-গুণীদের জন্ম হয়েছে এবং পদচারণা ছিল। তাদের মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ এবং কাঙ্গাল হরিনাথ অন্যতম। আর এজন্যই এখানকার মানুষের মানসিকতা অন্যান্য জেলার থেকে ভিন্ন।
তিনি বলেন- এ কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার এবং জানার আছে। আজকের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সুশৃংঙ্খল অবস্থান তা প্রমাণ করে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী একজন জ্ঞানী, দক্ষ এবং আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা। তাঁর দক্ষতার কারণেই আজ কুষ্টিয়া পৌরসভার নাগরিক সেবা দেশের অন্যান্য পৌরসভা থেকে ভিন্ন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার এ আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার উন্নয়নে আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো। এ পৌরসভার সমস্যাগুলো আমাকে লিখিত জানাবেন আমি পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান। এ উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের জন্য আমি সকলকে আহবান জানাই। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১২তম দিনের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। সভায় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া বোধোদয়’র সভাপতি এ্যাড. লালিম হক, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মতিয়ার রহমান মজনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর আনিছ কোরাইশী এবং পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আমান উল্লাহ।
সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, পৌরসভার চাকুরীর বিধিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন না থাকায় মেধাবীরা পৌরসভায় চাকুরী করতে অনেক ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। আশারাখি এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদায় দৃষ্টি দিবেন। মেয়র বলেন, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ে আগমণ শুধু পৌরবাসীকে নয়, কুষ্টিয়াবাসীকে ধন্য করেছে। আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত।
সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, পৌরসভার ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের জ্ঞানী এবং গুণি ব্যক্তিদের উপস্থিতি আমাদেরকে ধন্য করেছে। কুষ্টিয়া পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। উল্লেখ্য পৌর চত্তরে শিকড়ের সন্ধানে মোড়ালের মোড়ক ও “ভাঙ্গাতে আসেনি ঘুম” লালিম হক’র গ্রন্থের স্বারক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। আলোচনা শেষে ভারতীয় শিল্পি ও ইন্ডিয়ান আইডলদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন শহর পরিকল্পনাবিদ রানভির আহমেদ এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইসলাম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি