কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কেসিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে অর্ধশত বছরের প্রাচীন দু’টি শিশু গাছ কেটে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী মহল। তবে গাছ কাটার বিষয়ে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় এলাকার সাধারণ জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনগর চুয়ামল্লিকপাড়া (কেসিপাড়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট ও মাদকাসক্ত সাফিউল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি মহল গাছ দুটি কেটে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাতে সাফিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র চুয়ামল্লিকপাড়া (কেসিপাড়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে অর্ধশত বছরের পুরনো দু’টি শিশু গাছ কেটে নেয়। যার মূল্য প্রায় প্রায় এক লক্ষ টাকা হবে। পরে সংঘবদ্ধ চক্র কেটে নেয়া গাছ দু’টি দৌলতপুর হাসপাতাল সড়কের ইমান আলীর কাছে বিক্রি করে। বর্তমানে গাছের গুড়িগুলো ইমান আলীর বাড়ির সমানে রাখা রয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে গাছ কাটার বিষয়ে দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুনতাকিম বলেন, গাছ কাটার বিষয় জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি কী করা যায়।
গাছ কাটার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, কিছুক্ষণ আগে গাছ কাটার খবরটি আমি শুনেছি। বর্তমানে দৌলতপুরের বাইরে রয়েছি। দৌলতপুরে ফিরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশা বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে সরকারি জায়গা কেসিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে দু’টি শিশু গাছ কেটে নেয়ার খবর শুনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, এর আগে চুয়ামল্লিকপাড়া রেজওয়ানুল উলুম আলিম মাদ্রাসা চত্বর থেকে সাফিউল ইসলাম ৪টি বড় বড় মেহগনি গাছসহ মাদ্রাসা চত্বরের বাঁশ বাগান থেকে কয়েকশত বাঁশ কেটে নিয়েছে। এছাড়াও সে ওই মাদ্রাসার আসবাবপত্রও রাতের আধাঁরে চুরি বিক্রয় করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেছে বলে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন। একই সাথে মাদ্রাসা চত্বরে মাদক সেবনের আস্তানাও গড়ে তুলে সেখানে সাফিউল ইসলাম গংরা নিয়মিত মাদক সেবন করে থাকে বলেও তারা জানিয়েছে।
এনিয়ে দৌলতপুর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচিত হলেও অদ্যাবধি কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।