কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সভাপতি আল আমিন কানাইকে আটক করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। সেই সাথে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ নামে মামলা করেছে কুষ্টিয়া মডেল থাানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের আড়ুয়াপাড়াতে কানাইসহ অন্য আসামীরা ককটেল বোমাসহ আবস্থান করছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মডেল থানার এস আই মুন্সি বাহারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যেয়ে কানাইকে আটক করে। এসময় অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এস আই মুন্সি বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা করে। মামলা নং ৫৯ তারিখ ২৩-১০-১৯।
এদিকে এ ঘটনাকে সম্পুন্ন মিথ্যা ও হয়রানি মামলা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা খবর পেয়েছি মঙ্গলবার রাতে জেলা যুবদলের সভাপতি আল আমিন কানাইকে শহরের বাটারফ্লাই মোড় আটক করা হয়। পরে পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭ নেতাকর্মীর নামে হয়রানি মূলক মামলা করে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃদ্বয় বলেন. বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের যেন বর্তমান আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই কর্মসূচি সাফল্যমন্ডিত করার জন্য মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে পূর্বেই হরণ করা হয়েছে। দেশকে বিরোধী দলশুন্য করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরন করা হচ্ছে। ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপির কর্মীদের কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই অংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি