এক দালালকে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে ২৮ দিনের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমান।
দুদক ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পলিচালনা করে পারভেজ নামের দালালকে আটকের পর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৮ দিনের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খোজ নিয়ে জানাগেছে ওই দালাল নিউ সান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডা: হোসেন ইমামের বেতনভুক্ত দালাল।
নিউ সান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডাঃ হোসেন ঈমাম তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স নিয়ে এই ডাক্তার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতরনা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত এই ডাক্তারের শুধু হাসপাতাল এলাকাতেই বেশ কজন বেতন ও কমিশনভুক্ত দালাল আছে। যারা হাসপাতালে আগত রোগীদের নানা প্রলোভনে নিউ সান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বাধ্য করে। বিষয়টি হাসপাতাল কতৃপক্ষসহ সবাই জানে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়না কখনই।
কারন হিসেবে নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ডা: হোসেন ইমামের মামার অভাব নেই এই শহরে। সাংবাদিক নামধারী কতিপয় ব্যক্তির সার্বিক তত্ববধানে পরিচালিত হয় ডা: হোসেন ইমামের এই নিউ সান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতাল।
ডা: হোসেন ইমামের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরন করা এবং চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা নেহাত কম না।
শুধু হোসেন ইমাম না, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকায় নামে বেনামে গড়ে উঠা বেশকিছু ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আর প্রাইভেট হাসপাতালের দৌরাত্ব এতটাই বেড়েছে যে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
এসব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকরা আবার অনেকেই সাংবাদিক পরিচয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরজুড়ে। কম্পিউটারের কি-বোর্ডের সাথে যাদের কোন পরিচয় নাই, অনেকে কি-বোর্ড কম্পিউটারের কোন অংশটা জানেনা অথচ সাংবাদিক পরিচয়ে কেউ করছে ডায়াগনষ্টিক ব্যবসা, ডায়াগনস্টিকের দালাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ ভুক্তভোগীদের।