কুষ্টিয়া কারাগারের বন্দিরা এখন অন্য রকম এক জীবন কাটাচ্ছেন। নিজেরাই তৈরি করছেন তোয়ালে, লুঙ্গি, গামছা এবং একতারা। আত্মনির্ভরশীল হতে নানা কাজে সময় দিচ্ছেন তারা। তবে নিজেদের অপরাধের জন্য পরিবার-পরিজনের দুরাবস্থায় বিষন্ন থাকে তাদের মন। কখনও কাজ করে খেতে হবে ‘এমন চিন্তাও যারা এক সময় করেননি, তিনি এখন কর্মক্ষম মানুষে পরিণত হতে চান।
এসব কোন সিনেমার দৃশ্য নয়। নানা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কুষ্টিয়া কারাগারে বন্দি এসব মানুষ এখন স্বাভাবিক জীবনের মতো সময় কাটাচ্ছেন। কেউ হাতে তৈরি তাঁতের গামছা ও কয়েদী পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত। কেউবা স্বয়ংক্রিয় পাওয়ার লুমে লুঙ্গি-তোয়ালে বানাচ্ছেন। আর কোন অপরাধে নয়, ফিরে যেতে চান স্বাভাবিক জীবনে।
শুধু অপরাধ নয়, মাদকাসক্তের মতো কর্মফলের কারণেও বন্দি হয়ে আছেন অনেকে। তবে এখন তারা নৈতিক শিক্ষা নিচ্ছেন কারাগার থেকে।বন্দীদের নানা শিক্ষা দিতে পেরে গর্বিত এই শিক্ষক। বন্দি জীবন কাটিয়ে কর্মে মন দিয়েছেন মামুন ও সুজন। জীবন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় কারা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানালেন সুধীজনরা। ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ এই শ্লোগানে সরকারের মিশন ও ভিশনের অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া কারাগারে বন্দিদের জন্য এসব কর্মসূচি চালু হয়েছে বলে জানালেন, জেল সুপার।
কুষ্টিয়া কারাগারের ধারণক্ষমতা সাড়ে ৬শ’ জনের। বর্তমানে এখানে হাজতী পুরুষ রয়েছেন ৩শ’ ৮৭ জন, মহিলা ২২, দণ্ডপ্রাপ্ত পুরুষ কয়েদী ২শ’ ২৪, দণ্ডপ্রাপ্ত মহিলা কয়েদী ৪, আর মৃত্ব্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আছেন ১২ জন।
Discussion about this post