করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে দর্শনার্থী ও মান্নত কারীদের উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি, নেই কর্তৃপক্ষের নজরদারী।
কুষ্টিয়া ইবি থানার অন্তর্গত ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মাণ হওয়া মসজিদটির কারুকার্য শৈলী সকলকে আকৃষ্ট করে। তবে কারো কারো মনে ধারণা আছে যে এটি গায়েবি (এক রাতে তৈরি) মসজিদ আর সে কারণেই বহু বছর আগে থেকেই মসজিদে প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগবালাই বা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে ভেবে মান্নত নিয়ে আসে। যদিও ধর্মীয় আলেমদের মতে মসজিদ কোন রোগ সারাতে পারে না।


যাইহোক, বর্তমান বিশ্বের মহামারী নাম করোনাভাইরাস এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর ভাষ্যমতে এর থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। যার কারণে দেশে দীর্ঘদিন অঘোষিত লকডাউন চলেছে। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করে বাংলাদেশ সরকার।
আর এরই সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ আজ শুক্রবার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে জমায়েত হয়। সকাল থেকেই জেলা বিভিন্ন জায়গা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মান্নত কারীরা ও দর্শনার্থীরা ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ ভিড় জমায়। যেটি বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের জন্য হুমকিস্বরূপ।
যেখানে কুষ্টিয়া জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনাই আক্রান্ত প্রায় একশ জন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে কোন সচেতনতাই দেখা যাচ্ছে না, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব এবং কোন স্বাস্থ্যবিধি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল মুখে মাক্স না পড়ে বাহিরে বের হলেই ভ্রাম্যমান আদালতে করা হবে জরিমানা। কিন্তু মসজিদে আসা দর্শনার্থীদের গুটিকয়েক জনগণ বাদে বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। এ মতো পরিস্থিতিতে দর্শনার্থী ও মন্নতকারী আসার কারণে কিছু সংখ্যক লোক এবং উর্দ্ধতন কিছু ব্যক্তি লাভবান হলেও হুমকিতে পড়ছে এলাকার মানুষ সহ সকলে।


এমতাবস্থায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে করে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বহিরাগত দর্শনার্থীরা যেন এমন অবস্থার সৃষ্টি না করে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
Discussion about this post