দেশব্যাপি নোভেল-১৯ করোনা ভাইরাসের ভয়াল আক্রমণে কর্মজীবী মানুষ হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়ার কারনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে, পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলায় দ্বিতীয় দফায় শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে।
এদিকে আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফের নির্দেশ রয়েছে কোন মানুষ যেনো না খেয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষের খাদ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে চলেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন।
এদিকে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ও শহরের মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরীসহ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসার দিন রাত পরিশ্রম করছে। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় ১জন চিকিৎসক, ১জন পুলিশের এসআইসহ ৫জন করোনা সনাক্ত হওয়ায় সকলে আতঙ্কে রয়েছে।
এরপরও ঘরে বসে নেই সরকারি কর্মকর্তারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া ও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী’র উপস্থিতিতে এলাকায় দ্বিতীয় দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হয়। তারা নিজেদের জীবনের কথা ও পরিবারের কথা না ভেবে, প্রতিদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।
খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ আফিল উদ্দিন, শহর ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুর রহমান পাভেল। হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, আব্দালপুর ইউনিয়নে বিতরণে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপন।
এছাড়াও ঝাউদিয়া, উজানগ্রাম, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে দিনব্যাপী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হয়। সকলের কাছে আতাউর রহমান আতার অনুরোধ আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, যতদিন বাঁচব আমরা আপনাদের সেবা করে যাবো। দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই সকলে একটু সচেতন হই আর যাদের সামর্থ রয়েছে তারা প্রতিবেশির একটু খোজ রাখেন যারা না খেয়ে আছে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন। আপনাদের সমস্যার কথা জানালে অবশ্যই খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করবো। খুবই প্রয়োজন ছাড়া আপনারা বাড়ি থেকে বের হবেন না।