কুষ্টিয়ায় হটাৎ করে ডাইরিয়ার পাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩৭ জন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী ডাইরিয়ায় আক্তান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে ১০ ২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে কর্তব্যরত নারর্সরা রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে বলে ওই ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জন্য হাসপাতালের ৩ টি ছোট ছোট রুম ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ওই ৩ রুমেই রোগী ঢোকানোর আর কোন ব্যবস্তা নেই।
হাসপাতালের আউট ডোরের স্থান ও হাসপাতালের বারান্দায়, সিঁড়ির নিচে এলোমেলো ভাবে বিছানা করে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর সেখানে খোলা মেলা জায়গা হওয়ায় রোগী ও রোগীর সাথে আসা স্বজনদের ঠান্ডা হাওয়ায় বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্চে। কখনো বা অন্যান্য ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের নিয়ে আসা করতে কর্তব্যরত আয়াদের সাথে রোগীর স্বজনদের বাকবিতন্ডাও চলছে।
আলামপুরের তোক্কেল আলী (৬০) শনিবার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। ৩ টি কলেরা স্যালাইন দেয়া হয়েছে তার শরীরে। ২ টি হাসপাতাল থেকে দিলেও ১ টি বাহিরের থেকে কিনতে হয়েছে। এছাড়া জগনাথপুরের লিপি বেগম( ৬০), চৌড়হাস আদর্শপাড়ার শাহ জাহাহানের ৭ মাসের শিশু ছেলে আলিফ, লাহিনী পাড়ার মিজানের ছেলে ১ বছ্রের ছেলে ইউনুস আলীর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে জানান রোগীর সাথে আসা স্বজনরা।
এছাড়া শহরের রাজারহাট এলাকার রনজুলের স্ত্রী মর্জিনা ( ৬০), আবু জাফর মোল্লা (৬২), মিরপুরের রাসেলসহ বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজনরা বলেন, রোগীর মুখে খাবার স্যালাইন নিতে গেলে নার্সরা ভালো ব্যবহার করলেও আয়া খুব দূব্যবহার করে। রোগীর বিছানা সরাতে, স্যালাইন নিতে গেলে আয়ারা টাকা চাই। না দিলেই নানা ভাবে বকাঝকা করে। আর রোগীকে বার্থরুমে নিয়ে গেলেও আয়া টাকা চাই।
সারা বছরই ডাইরিয়ায় শিশুরা ছাড়াও সব বয়সীরা কম বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকলেও হটাৎ করে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে গেছে । এদিকে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও রয়েছে। আর তাদের চিকিৎসা দিতে বেশ হীমসিম খাচ্ছে নার্সরা। রাতে রোগী আরো বাড়তে পারে বলে ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়।
ওয়ার্ডের এক নার্স জানান, ২ জন সিনিয়র নার্সসহ আরো ৩ জন ছাত্রী নার্স রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে মুখে খাবার স্যালাইন ও কলেরা স্যালাইনের যথেষ্ট সাফলাই থাকায় রোগীদের তা আর বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে না বলে জানান কর্তব্যরত নার্স। এ সময় ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসককে দেখা যায়নি। রাতে আরো রোগীর বাড়তে পারে বলে ওই ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে।