মোঃ চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ- কুষ্টিয়ার মহাসড়কগুলোতে একটা সময় হরহামেশা অবৈধ জানবাহন চলাচল করতো। ফলে সড়ক জুড়ে ছিল মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু সেই চিত্র এখন পুরোটাই পাল্টে গেছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিমের কঠোর তৎপরতা আর নজরদারি থাকায় মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি, লেগুনা সহ অন্যন্যা অবৈধ যানবাহন চলছে না। বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া- মেহেরপুর, কুষ্টিয়া -সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি মহাসড়কে অবৈধ যারবাহন গুলোর চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের সার্বক্ষণিক তৎপরতা ও নজরদারি চলছে। এ সময়ের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ বিপুল সংখ্যক অটোরিক্সা, ভ্যান, নছিমন, করিম,সিএন জি আটক করেছে।
এছাড়া ও স্পিডগানের সাহায্যে মুহূর্তেই নির্ণয় হচ্ছে চলন্ত গাড়ির গতিবেগ। আবার অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে ৪ সেকেন্ডেই জানা যাচ্ছে চালক মাদকাসক্ত কিনা। কুষ্টিয়া মহাসড়কে এ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার শুরু করেছে চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ী। সংশিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতের পাশাপাশি ট্রাফিক আইনসংক্রান্ত মামলার ভোগান্তি কমাবে।
জানা যায়,বারখাদা ত্রিমোহনী বটতলা দুইটি স্থানে অতিরিক্ত আইজি ও হাইওয়ে পুলিশ সুপার মাদারীপুরের দিকনির্দেশনায় ফাঁড়ি ইনচার্জ রেজাউল করিম একদিনে ১১ টি মামলা দায়ের করেন এবং গত ২ মাসে ৬২১ টি মামলা দায়ের করেন যাহা সরকারী কোষাগারে লক্ষ্যধীক টাকা রাজস্ব জমা হয়েছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম রেজা জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যানবাহনবান্ধব মহাসড়ক নিশ্চিত করতে এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে দ্র“ততম সময়ের মধ্যে যানবাহনের গতিবেগ, চালক মাদকাসক্ত কিনা এবং গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে আমাদের বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। একই সঙ্গে খুব সহজেই হাইওয়েতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে।