বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন উন্নতশীল রাষ্ট্রের দিকে দিন দিন ধাবিত হচ্ছে। দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপ জনগনের কল্যাণের জন্য। এক সময় নাগরিক সনদের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া লাগতো। তার সনদই ছিল নাগরিক প্রমানের একমাত্র হাতিয়ার।
বিএনপি তাদের আমলে ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার করে। এ খবর আমাদের কাছে আসার পর আমরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দাবি তুলেছিলাম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতেই সে সময় পরিচয়পত্র প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। আর এখন আমাদের সরকার দিচ্ছে আধুনিক মানের স্মার্ট পরিচয়পত্র।
গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মার্ট পরিচয়পত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার সোহেল রহমান, এডিএম হাসান হাবিব, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমেদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম স্মার্ট পরিচয়পত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। একই সাথে কারিগরি দিকসহ তিনটি ভিডিও ক্লিপ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ আরো বলেন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়ায় খালেদাকে জেল দিয়েছে আদালত। একমাত্র আদালতই পারে তাকে মুক্তি দিতে, তাই আন্দোলন ও বিদেশীদের কাছে নালিস করে তাকে মুক্ত করা যাবে না। বিএনপি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাই তাদের রাজনীতি এখন নালিস করা। এদেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগন যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতা আসবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচনে কে আসল আর না আসল তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না।
হানিফ এ সময় বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালিন তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ঢুকে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তদন্তপুর্বক বিচার দাবি করছি। সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি মেনে নিয়েছে। বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।
সড়ক মৃত্যুর মিছিল যাতে কমে আসে সেজন্য কঠোর আইন করা হয়েছে। আইনের প্রয়োগ শুরু হলেই বাংলাদেশের সড়ক নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ৭ সিনিয়র নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে নিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ৯ আগষ্ট থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
পৌরসভা অডিটোরিয়ামসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এসব কার্ড বিতরণ করা হবে। এ জন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আলাদা আলাদা তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।