ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জাল স্বাক্ষর করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন কর অঞ্চল-৪, কুষ্টিয়ার ভেড়ামার সার্কেল এর সহকারী কর কমিশনার মেজবাউদ্দিন আহমেদ। টাকা আত্মসাতের খবর জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন মেজবাউদ্দিন আহমেদকে, ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন কর কমিশনার খুলনা-প্রশান্ত কুমার রায়।
জানা যায়, ভেড়ামারা সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার মেজবাউদ্দিন আহমেদ নিজ নামে কর অঞ্চল-৪ এর পরিদর্শী যুগ্ম-কর কমিশনার এবং কর কমিশনার খুলনার স্বাক্ষর জাল করে ভেড়ামারা জনতা ব্যাংকে ২৫শে নভেম্বর ২০১৮ সালে একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন যাহার নম্বর-০১০০৫২৭৪১৩৫৩। এই অ্যাকাউন্টেই জমা হতে থাকে কর দাতাদের ডিডি এবং পে-অর্ডারের টাকা। জমার টাকা দফায় দফায় তুলেও নেন মেজবাউদ্দিন আহমেদ। সর্বশেষ তিনি ১০ই জানুয়ারি আঠারো লাখ চুরাশি হাজার সাতশ চুয়াল্লিশ (১৮,৮৪,৭৪৪) টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার আবুল শরিফ নগদ টাকার বিপরীতে পে-অর্ডার দিতে চাইলে রাজি হননি মেজবাউদ্দিন আহমেদ।
ম্যানেজারের মনে সন্দেহ হলে কুষ্টিয়া অফিসকে লিখিতভাবে অবগত করেন। জানতে পারেন ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, নির্দেশনা দেয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের, ২৪শে জানুয়ারি মাত্র ৫ হাজার টাকা রেখেই বন্ধ করা হয়েছে অ্যাকাউন্টটি। তবে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ৫২ লাখ টাকা। একই পস্থা অবলম্বন করে খুলনা খেকেও আত্মসাত করেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা।
বিভাগীয় কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় এবং কর অঞ্চল-৪ এর পরিদর্শী যুগ্ম-কর কমিশনার মন্জুরুল আলম বলেন, আমাদের স্বাক্ষর জাল করেছে অভিযোগ সত্য। আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি, ফৌজদারি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তারা বলেন, অপরাধী ছাড় পাবে না নিশ্চিত করেই বলতে পারি।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী কর কমিশনার মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি, চাকরিতেও বহাল আছি, সাময়িক বরখাস্তের কোনো চিঠি আমি আজও হাতে পায়নি। সুত্র- বাংলারজমিন