এক সন্তানের জনক কর্তৃক জোরপূর্বক ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর কোন প্রকার বাড়াবাড়ি ও মামলা না করতে এলাকার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের নওদাপাড়ায় গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই লম্পট পলাশ।
এলাকাবাসী ও ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, ওই এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কবুরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় প্রতিবেশী শহিদুল সর্দারের ছেলে এক সন্তানের জনক পলাশ ( ২৫) তাকে একা পেয়ে মুখচেপে ধরে জোরপূর্বক নীজ রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর গোঙরানিতে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ধর্ষক লম্পট পলাশ বিবস্ত্র অবস্থায় পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে এঘটনার পর ওই ছাত্রীর পরিবার কে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি ও মামলা না করার জন্য ধর্ষকের ভাড়াটে ক্যাডার দিয়ে নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছে। বিষয় এলাকায় বসে মিমংশা করার জন্যও এলাকার একটি মহল মেয়ের বাবাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর গতকাল রাতেই থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনো ওই ধর্ষক পলাশকে আটক করতে পারিনি পুলিশ।
এব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং ওই স্কুল ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে আসামী পলাতক থাকায় তালে গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।