কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে লাশ দাফনের একদিন পরে জানা গেল মোকাদ্দেস হোসাইন (১০১) করোনা পজেটিভ ছিল। তিনি কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকায় মোকাদ্দেস হোসাইন জ্বর, ঠান্ডা, কাঁশি নিয়ে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। পরে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমারখালী বড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পৌর গোরস্থানে মৃতদেহ দাফন করা হয়। আজ বুধবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবের সরবরাহকৃত তথ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর জানা যায় তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন।
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলায় পজিটিভ হয়ে এটাই প্রথম মৃত্যু। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।
এতথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম রফিক জানান, জ্বর ঠান্ডা কাঁশি নিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে তার মৃত্য হয় এবং ঐ দিনই সকালে নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া ল্যাবে পাঠানো হয় আর আজ সন্ধায় জানা যায় করোনা পজেটিভ।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং আজ করোনা পজেটিভ আসায় নিহতের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে লকডাউন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে আজ বুধবার কুষ্টিয়ার ২০১ টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে যার মধ্যে ২৬ টি পজেটিভ। নতুন আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১জন, দৌলতপুর ৩জন, কুমারখালী ৩জন, ভেড়ামারা ৯ জন।
আজকে নতুন সনাক্তদের মধ্যে ১৮জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত বহিরাগত বাদে ১৭৯ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল।