কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নয়ন (৩২) নামের বাসচালক ও জাফর (৩৪) নামের বাসের সহকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বাসের ২৫ জন যাত্রী। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের লাহিনীপাড়া খালেকের ইটভাটার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া দৌলৎদিয়াগামী রনি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লাহিনীপাড়া খালেকের ইটভাটার কাছে পৌঁছালে ভাঙ্গা সড়কের কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে পড়ে। এসময় বাসের চালক নয়ন (৩২) ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং জাফর(৩৪) নামের বাসের সহকারীর লাশ গাড়ীর নিচ থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহত বাসচালক নয়ন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে এবং সহকারী জাফর কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের সুজা উদ্দিনের ছেলে।
আহতদের মধ্যে পাংশার মজিবর রহমানের ছেলে সুজন (৩০), চরভাইয়ার গ্রামের মজিবুর রহমান (৪৫) নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার রেজাউলেল ছেলে রানা আহম্মেদ (৩০),খোকসা মোড়াগাছা গ্রামের মোস্তাফার মেয়ে সাথী খাতুন (১৮), চৌড়হাস এলাকার জামসেদ আলীর ছেলে সুরুজ আলী (৩০), রিফাজের ছেলে চাঁদ আলী (৫০), মোস্তফা (৪০), পাংশার হাবিবুরের ছেলে মজিবর, দৌলতপুর উপজেলার আমদহ গ্রামের ভেগলের ছেলে মোস্তফাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ জানান, দুপুরে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের লাহিনীপাড়া একটি ইটভাটার কাছে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায়। বাসচাপায় আহত যাত্রীসহ বাসের ঐ চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধা করি। বাসের নিচে আরও লাশ রয়েছে সেটি উদ্ধারে র্যাকার না থাকায় দীর্ঘ চেষ্টার পর ইটভাটা থেকে এস্কেবেটর এবং আমাদের গাড়ীর সাহায্য নিয়ে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি সরিয়ে সহকারীর লাশ উদ্ধার করি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post