কুষ্টিয়া শহরের একটি ছাত্রী ম্যাচ থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ২ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের টালীপাড়া সবোত আলীর ছাত্রী ম্যাচের একটি রুমের তালা ভেঙে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রীর নাম আঞ্জুমান আরা সাথী (২০)। সে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের বি বি এ শেষ বর্ষের ছাত্রী। মিরপুর উপজেলার কুর্শা গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, রাতে খবর পেয়ে রাতেই শহরের সবোত আলীর বাড়িতে পৌছায়। সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে রুমের ফ্যানের সাথে গলাই ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পাই। পরে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সাথীর পারিবারের সদস্যারা জানায়, ২ বছর আগে আঞ্জুমান আরা সাথীর সাথে বিয়ে হয় পাশের গ্রামের সদরপুরের নওদা আজিমপুর গ্রামের কায়েম আলী বিশ্বাসের ছেলে বাদশার সাথে। পরে জানাযানি হলে দুপক্ষই আনুষ্ঠানিক ভাবে মেনে নেন। বিয়ের কয়েক দিন পরে বাদশা শ্বশুর বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাই। তবে পরে সাথীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে থাকে বাদশা।
বাদশা প্রবাসে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে আরেক মেয়ের সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ নিয়ে গত বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে বাদশার সাথে স্ত্রী সাথীর তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় বলে অভিযোগ করেন সাথীর পরিবার । এক পর্যায়ে সাথী রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে গলাই ওড়না প্যাচিয়ে আত্নহত্যা করে।
বাদশার ভাই রিয়াজুল ইসলাম জানান, বাদশা ও সাথীর সম্পর্ক করে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সাথীর ছিল চরম জিদ আর জিদের কারনেই মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর বাকবিতন্ডা লেগেই থাকতো। ইতিপূর্বে বাদশার সাথে অন্য এক মেয়ের সম্পর্ক আছে বলে সাথী অভিযোগ তোলেন। এর জের ধরে দুপরিবারে বসাবসি করে সমঝোতা করা হয়। এর পর দুজনের আর কোন সমমস্যার কথা শোনা যায়নি। সকালে সাথীর আত্নহত্যার কথা শুনে তারা ছূটে আসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ সাথীর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।