কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন মৃত্তিকাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- পার্শ্ববর্তী এলাকার কুশলীবাসা গ্রামের মিজানুর রহমান মাস্টারের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান রাজু (২৪) এবং একই এলাকার আশরাফুল আলম কুটির ছেলে, রফিকুল ইসলাম।
একই এলাকার শফির কন্যা ছদ্মনাম ছন্দাকে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার আসার পথে তার রাস্তা আটকায়, এবং জোরপূর্বক তাকে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী ছন্দার ভাষ্যমতে, সকাল বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং পথিমধ্যে দুজন অপরিচিত ব্যক্তি তার রাস্তা আটকায় ও তার নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম না বলে চলে আসতে চাইলে ওই দুই ব্যক্তি ছন্দার দুই হাত ধরে জোরপূর্বক পাশের একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। ছন্দা আকষ্মিক তাদের হাত ফসকে দৌড়ে পালিয়ে মাদ্রাসায় আসে এবং বিষয়টি সকলকে জানায়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার বলেন, ঘটনার সময় আমি বাহিরে ছিলাম মাদ্রাসা থেকে এক শিক্ষক ফোন দিয়ে ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত করে এবং আমি দ্রুত মাদ্রাসায় আসি। মাদ্রাসায় এসে দেখি মেয়েটি আতঙ্কগ্রস্থ। তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানি। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দুই বখাটেকে মাদ্রাসায় হাজির করি ও পুলিশের হাতে সোপর্দ করি। ইবি থানা পুলিশের সামনে ছন্দা ওই দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ও তাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনার বিবরণ শুনি এবং তার সত্যতা পাই ঘটনার ভুক্তভোগী ছন্দা ওই দুই বখাটেকে শনাক্ত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরদার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য ঘটনার মূল হোতা মিজানুর মাষ্টারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজু ও তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম এলাকায় চিহ্নিত বখাটে। প্রায়শয়ই তারা এলাকার যুবতি মেয়েদের উত্যক্ত করে। এবং এলাকার নানা রকম খারাপ কাজের সাথে জড়িত। তাদের জ্বালায় অতিষ্ট এলাকাবাসী।