কুষ্টিয়ায় ভুল অপারেশনে শুকুরুন নেছা (৫০) রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুকুরুন নেছার মৃত্যুর ঘটনায় পান্টি বাজারের কথিত কোয়াক ডাক্তার লিয়াকতের বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে।
জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার পান্টি পূর্ব পাড়া মৃত নুরুদ্দীনের স্ত্রী শুকুরুন নেছা। নিহত শুকরুন নেছার ছেলে রাজু দাবী করেন তার মায়ের ভুল অপারেশনের কারনে মৃত্যু হয়েছে। রাজু আরো জানায়, পান্টির কথিত কোয়াক ডাক্তার দালাল লিয়াকত আলী আমার মাকে জরায়ুর নাড়ীর টিউমারের অপারেশনের জন্য কুষ্টিয়ার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ১২ হাজার টাকার চুক্তি করেন। গত সোমবার বিকালে ক্লিনিকে আমার মাকে অপারেশন করেন। অপারেশনের পর থেকেই নিহত শুকুরুন নেছার অবস্থার অবনতি হয়। তার পেট ফুলে যায়।
গতকাল বিকালে নিহত শুকরুন নেছাকে ক্লিনিক থেকে বের করে এম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের উদ্যেশ্যে রওনা দিলে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে থেকে মৃত্যু হয়। আমার মায়ের ডাক্তারের ভুল অপারেশনে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেন। আমি এর বিচার চাই। রাজু জানায়, কথিত কোয়াক ডাক্তার এই লিয়াকতের কারনেই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, পান্টি বাজারের কথিত ডাক্তার লিয়াকত দালালি করে বিভিন্ন রোগী কমিশনের মাধ্যমে ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
সে ইতিপূর্বে পান্টি বাজারে ৫-৭ জনকে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে। লিয়াকতের ডাক্তারী ডিগ্রি না থাকলেও তিনি রোগী দেখেন ও চিকিৎসা প্রদান করেন। এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ব্যাপারে ওই ক্লিনিকের ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। ডাক্তার রেফার্ড করলে রোগী পথের মধ্যে মারা যায়।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসার রওশন আরা’র সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কুষ্টিয়ার বাইরে অবস্থান করছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার অরবিন্দু পালের সাথে কথা বলুন।
ডাঃ অরবিন্দু পালের সাথে গতকাল রাতে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বর্তমানে সদরের দায়িত্বে আছেন ডাঃ মোমেন। তার সাথে যোগাযোগ করুন।
কথিত কোয়াক ডাক্তার লিয়াকতের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে পান্টি বাজারে অবস্থিত তার চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যান। এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিয়াকত ডাক্তার কে নিয়ে এলাকায় চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।