চীনের দুঃখ হোয়াংহো আর কুষ্টিয়ার দুঃখ বিএটিবি। প্রতিদিন তামাক জনিত রোগে মরছে মানুষ। তামাকের দুর্গন্ধে চৌড়হাস মোড় থেকে বটতৈল মোড় পর্যন্ত পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের ত্রাহি অবস্থা। শিশু, নারী, পুরুষ কেউ রেহায় পাচ্ছে না দানব তামাকের ভয়াবহতা থেকে।
পত্রিকার পাতায় কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ কেমন যেন চুপসে যাওয়া ফানুসের মত সব কিছু থমকে যাচ্ছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, প্রতি বর্ষায় বিএটিবি নামমাত্র কিছু বৃক্ষ রোপন করে থাকে। তবে সে বৃক্ষ সাধারণ মানুষের জন্য নয় তাদের তামাক পোড়ানোর জন্য।
এক জরীপে দেখা যায়, তামাক পোড়াতে যে পরিমান জালানী প্রয়োজন তার ১০ ভাগের এক ভাগও এই বৃক্ষ থেকে আসে না। প্রতি বছর হাজার হাজার টন বৃক্ষ জালানী হিসেবে তামাকের জ¦লন্ত ভাটার অগ্নিগহ্ববরে পুড়ছে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অতিসংগোপনে পালন করে থাকেন বিএটিবি কর্মকর্তারা। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও জানানো হয়না।
বিএটিবি’র বৃক্ষরোপনের কথা শুনে তামাক বিরোধী বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, কুষ্টিয়ায় বৃক্ষ বিধ্বংসী তামাক কোম্পানী বিএটিবি’র বৃক্ষরোপন এটি পরিবেশের সাথে তামাশা ছাড়া আরও কিছুই নয়।