“ভবিষ্যতের উন্নয়নে, কাজের সুযোগ পর্যটনে” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ কয়া ইকো পার্ক, কুমারখালী, কুষ্টিয়ায় ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস -২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বাঘা যতিনের ঐতিহ্যবাহী এ স্থানটিতে ভিন্ন আঙ্গিকে একটি ইকো পার্ক নির্মাণ কাজ চলছে। এ স্থানটি একদিন বিখ্যাত হয়ে উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতায় ডিসি ইকো পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে, স্থানটি একটি বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করছি।
দীর্ঘ দিনের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়নে ইকো পার্ক শুভ উদ্বোধন করা হল গতকাল বিকাল ৪ টায় । দৃষ্টি নন্দন এই ইকোপার্কে নানান রকমের গাছ গাছালি,পাখ পাখালি ও মনোরম ফুলের বাগানের স্বমন্বয়ে নান্দনিকভাবে গড়ে উঠা এই পার্ক, এরই মধ্যে নজর কেড়েছে কুষ্টিয়াবাসীর। এই উৎসব মুখরিত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়ার মাঝে এই ঈদসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের মাত্রা এক ধাপ বাড়িয়ে আরো উৎসাহিত করে দিল।
উক্ত উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, মৃনাল কান্তি দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন নাহার সহ কুষ্টিয়া জেলার নানান নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান।
উক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বলেন এই সাংস্কৃতিক জনপদ হিসবে কুষ্টিয়ার কুমারখালী হলো সবচেয়ে সমৃদ্ধি জনপদ এই জনপদে কাঙ্গাল হরিনাথের জন্মস্থান। মীর মোশাররফ হোসেনের মত সাহিত্যকের জন্মস্থান হলো এই কুমারখালীর কুষ্টিয়া জেলায়। কুষ্টিয়ার অহংকারের জিনিস যত অহংকারের মানুষ যত জ্ঞানি গুনি, কবি সাহিত্যক মানুষ এই কুমারখালী উপজেলাতে জন্ম। আমরা প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা খরচ করেছি। এই গড়াই নদীর তীরে বাঘা যতীনের একটি উন্নত মানের বিনোদনের পার্কটি মানুষের মাঝে বিনোদন দেওয়ার জন্য স্পট হিসাবে বেছে নিয়েছি।
যে এই ইকোপার্ক কুষ্টিয়া মানুষের দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফল এই পার্কে চিত্তোবিনোদনের পাশাপাশি উপকূলীয় এই জেলার জলবায়ু পরিবার সহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় জিনপুল সংরক্ষণ, বন্যা প্রানীর আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দৃষ্ঠিনন্দিত এই ইকোপার্কে রয়েছে হরতকি, অর্জুন, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বেশ কিছু প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ভেষজ বৃক্ষ। এছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে গড়াই নদীর ধারে সুন্দর পরিবেশ, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন রাইডার নাগরদোলাসহ আরো কয়েকটি রাইড বসানোর চলছে প্রক্রিয়া।
এছাড়া পর্যটক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফর ও বনভোজনে আসা লোকজনের থাকা-খাওয়ার জন্যও এখানে সুব্যবস্থা করা হবে।