কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চিলচিলমারীর চরের বালি চাপা দেয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরকীয়ার জেরে রনি (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ চরে বালি দিয়ে চাপা দেয় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই চরের বালির ভেতর থেকে অজ্ঞাত নামা লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি তাজপুর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি একই এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রনিকে অপহরণ করা হয় এবং তাকে হত্যা করে লাশ চরের মধ্যে বালি চাপা দিয়ে রাখে সন্ত্রাসীরা। লাশের কিছু অংশ স্থানীয়রা দেখে দৌলতপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবকের শরীরে জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে জ্যাকেট দেখে রনির লাশ বলে সনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় সোনাইকুন্ডি তাজপুর গ্রামের নিহত রনির বন্ধু পিয়াস (২৬), প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা (৩৫) ও তার দেবর নাসিরকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার (ওসি) শাহ দারা খান জানান, উদ্ধার করা লাশের নাম রনি বলে তার পরিবারের লোকজন সনাক্ত করেছে। সে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।