কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় প্রায় এক হাজার গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের কবলে পড়েছে। অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ বিল আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা। অবশ্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার কারণ খতিয়ে দেখে বিল সমন্বয় করার আশ্বাস দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক ম্যানেজার ।
কুষ্টিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বটতৈল সাব জোনাল অফিসের আওতায় জিয়ারখি, মঠপাড়া, এবং মেটন এলাকায় অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ বিল আসছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতি মাসে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল আসে তার থেকে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি বিল আগস্ট মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে । অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ বিল আসায় বিপাকে পড়েছেন ৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ।
গ্রাহকরা জানান, জুন মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২২৭ টাকা। আর জুলাই মাসে এসেছে ২৭০০ টাকা। বাসায় একটি ফ্যান ও ফ্রিজ চলে। এবং দুইটি বাতি জ্বলে। আমার এত বিল কেন আসবে?
অন্য গ্রাহক জানান, প্রথম মাসে ১৫৭ টাকা বিল এসেছে। এরপরে এসেছে ৭৮৮ টাকা। আমি গরীব মানুষ ভ্যান চালাই খাই। এত টাকা বিল কীভাবে দিবো।
জুন মাসে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন একই পরিমাণ বিদ্যুৎ জুলাই মাসে ব্যবহার করেছেন গ্রাহকেরা যার ফলে অতিরিক্ত বিল আসায় সংসারে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে বলে জানান গ্রাহকরা ।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পরা গ্রাহকরা জানান, গত মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২২০ টাকা। আর এ মাসে বিল এসেছে ১১৮০ টাকা। এ বিলে কারণে সংসারে ঘাটতি হচ্ছে। কী কারণে আমরা ঘাটতি দেবো। আর এর সমাধান চাই।
এ অবস্থায় অতিরিক্ত বিল সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকেরা। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সমাধান চান তারা।
কুষ্টিয়ার ৩টি এলাকা থেকে বেশি বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর তদন্ত সাপেক্ষে বিল সমন্বয় করা হবে বলে জানান কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কোন গ্রাহক যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তার বিলটি অস্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে তদন্ত করে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্য মতে, কুষ্টিয়া সদর উপকেন্দ্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক রয়েছে ৯৪ হাজার ৮শ ৩৪ জন।