কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ চার জন শ্রমিকের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৮জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের রঞ্জিতের ছেলে জুবায়ের (২৪) এবং নজরুলের ছেলে জাকির (৩০)।
বুধবার (৮ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে পাবনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে কুমারখালীর পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ চার জনের মধ্যে শরিফুল নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকাল ৩টা ৪০মিনিটের দিকে জুবায়ের নামে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাকিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আজকের মতো অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারও উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।


দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা মনসুর আলী জানান, পদ্মার চরে উলু ঘাস কাটতে ভেড়ামারা থেকে শ্রমিকেরা কুমারখালীর ঘোষপুর এসেছিলেন। চরে যেতে দুইটি ডোঙা নৌকা ভাড়া করা হয়। নৌকা দুটিতে ৪ জন ও ৯ জনে ভাগ হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে চরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রবল স্রোতে প্রথমে ৯ জনের নৌকাটি ডুবে যায়। ডুবন্তরা চার জনের নৌকায় চড়ার চেষ্টা করলে সেটিও ডুবে যায়। ৯ জন সাঁতারে পাড়ে আসতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে চার জন শ্রমিক নিখোঁজ হন। উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। সকালে দুটি নৌকায় উলু কাটার জন্য ৯ জন শ্রমিক যাচ্ছিলেন। এসময় পদ্মার প্রবল স্রোতে তাদের নৌকা ডুবে যায়। এতে পাঁচ জন শ্রমিক সাঁতরে পারে উঠতে পারলেও বাকি চার জন নিখোঁজ হন।
Discussion about this post