কুষ্টিয়ার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কুষ্টিয়ায় দিন দিন বাড়ছে হোটেলের রমরমা ব্যবসা-বানিজ্য। শহরের হোটেলগুলোতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আহার করে থাকেন। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবারে তাদের নির্ভর করতে হয় এসমস্ত হোটেলগুলোর উপর।
কিন্তু কেউ তোয়াক্কা করছেন না অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পরিবেশের। ভুক্তভোগীরা উপায়ান্তর না থাকায় মুখ বুজে করছেন আহার। যারা পারছেন না তারা অনাহারেই থাকছেন বা রুটি, বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
কুষ্টিয়ার বেশীরভাগ হোটেলে খাবার তৈরি হচ্ছে পুরাতন তেল ব্যাবহার করে ও খোলামেলা স্থানে। বিশেষ করে রুটি, পরোটা, সিঙ্গারা, পিয়াজু, বেগুনী ভাজা হচ্ছে একাধিকবার ব্যবহার্য্য তেল দ্বারা। ভাত, মাছ ও মাংস সহ হরেক রকমের খাবারের আরো খারাপ অবস্থা। কুষ্টিয়ায় এধরনের হোটেল রয়েছে প্রায়র ৫০টি। যার মধ্যে হাতেগুণা কয়েকটি হোটেলে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও খাবারের গুনগত মান বজায় রেখে। বাকীগুলোর অবস্থা যা ইচ্ছা তাই।
হোটেলগুলোতে অল্প বেতনে কম বয়সী ছোট -ছেলেদের দিয়েও কাজ করানো হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার মজমপুরস্থ বিশ্বাস হোটেল, কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন হোটেল ডিলাক্স ও শফি হোটেলে খাবার অযোগ্য পরিবেশ।
খাবার প্রস্তুত করার কক্ষ গুলোর বেহাল দশা। আর রমজানেও থেমে নেই পচা-বাসী খাবার বিক্রি। দুপুরের মাছ চলে রাত্রীবেলাতেও।
হোটেল ডিলাক্সের মালিক কুতুব উদ্দিন কুষ্টিয়া হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি হলেও তার দোকানেই নেই পরিচ্ছন্নতার বালায়, আর পচা-বাসী খাবারের হিড়িক।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে।