নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর কুষ্টিয়ার খোকসার গোপগ্রামের ধানক্ষেত থেকে তুষার (২০) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খোকসা থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আধা কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে ধানক্ষেতে দুর্গন্ধ পান কৃষকরা। এ সময় এক কৃষক দুর্গন্ধের সূত্র ধরে যুবকের মরদেহ দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আমলাবাড়িয়া গ্রামের খন্দোকার আব্দুল হান্নান এসে মৃতদেহটি তার নিখোঁজ ছেলে তুষারের (২০) নিশ্চিত করেন।
তুষারের বাবা খন্দোকার আব্দুল হান্নান জানান, গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তুষার বাড়ির সামনের রাস্তায় যায়। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় তারা ছেলেকে খোঁজা-খুঁজি করেন। এরপর থেকে তুষার নিখোঁজ ছিল। চার দিন পর রবিবার বিকালে তিনি নিখোঁজ ছেলের মৃতদেহের সন্ধান পান।
আব্দুল হান্নান বলেন, তুষারের সঙ্গে গ্রামের কারও কোনো বিরোধ নেই। জনি ও অন্তু নামের দুই যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোন ও মেমোরি কার্ড নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। তারা তুষারকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। নিহত যুবক তুষার পেশায় অটো চালক। নাবিলা নামের তার এক বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত যুবকের মা মাকসুদা জানান, গ্রামের জনি ও অন্তু নামের দুই যুবকের চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলে তুষারের ওপর নির্যাতন করেছিল। সেই সময় থেকে ওই যুবকরা তুষারকে হুমকি-ধামকি দিত। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই সে অটো নিয়ে বাড়ি ফিরত। বুধবারেও সে একই সময়ে বাড়ি ফিরেছিল। মোবাইল ফোন বিরোধের জের ধরে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
খোকসা থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
“লাশের দেহে বিভিন্ন স্থানে আঘাতজনিত ক্ষত চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে যায় দূর্বৃত্তরা।”
ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কে বা কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।