কুষ্টিয়ায় নকল সরবরাহের দায়ে জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষকের ৭দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় নৈর্বত্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরী ও সরবরাহের প্রস্তুতিকালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক শামসুর রহমানকে হাতে-নাতে আটক ও পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
শনিবার জিলা স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে ডিউটিরত শিক্ষক শামসুর রহমান নৈর্বত্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরী করছিলেন।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি শরীফ উল্ল্যাহ ওই শিক্ষককে আটক করেন এবং তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী ও সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে তাকে সাত দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়। এনডিসি শরীফ উল্ল্যাহ জানান, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে সকাল সোয়া ১০ টারদিকে তিনি জিলা স্কুলে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে যান।
এসময় তিনি পরীক্ষা হলের একটি কক্ষে নৈর্বত্তিক প্রশ্নের ২১টি উত্তর তৈরীরত অবস্থায় শিক্ষক শামসুর রহমানকে হাতে-নাতে আটক করেন। পরবর্তীতে আটককৃত শিক্ষকের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী এবং ওই কক্ষে দায়িত্বরত অপর দুই শিক্ষকের সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে স্কুল চত্বরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে শিক্ষক শামসুর রহমানকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
কারাদন্ড প্রদানের পর পরই দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক শামসুর রহমান জিলা স্কুলের বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং তার বাড়ি খুলনায়।