বালু উত্তোলনের দায়ে গড়াই নদীতে অভিযান
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গড়াই নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করায় অভিযান চালানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার জিলাপীতলা- হিজলাকর এলাকায় গড়াই নদীতে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজীবুল ইসলাম খান। এ সময় সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ নূর- এ আলম সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযান পরিচালনার সময় বালু উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যরা পলাতক থাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট’র উপস্থিতিতে দু’টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন সহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন বন্ধে গত ২৮ জুলাই গড়াই নদীর জিলাপীতলা হিজলাকর এলাকায় ও ২৯ জুলাই তেবাড়িয়া এলাকায় পৃথক অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় সহ অবৈধ ড্রেজার মেশিন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সে সময় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা মাত্র কয়েকদিন বালু উত্তোলনের কারবার বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে আবারো বালু উত্তোলন শুরু করে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, আগ্রাকুন্ডা এলাকার মাসুদ সেখ ও তার সহযোগীরা জিলাপীতলা হিজলাকর বালু মহালটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা ও কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও ওই চক্রটি সুকৌশলে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।