কুষ্টিয়াতে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডিমের দাম। আবার এলাকাভেদে দামের ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এ দাম বাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ক্রেতা, বিক্রেতার সাথে কথা বলে সঠিক কোনো জবাব মেলেনি। তবে কেউ কেউ বলেছেন শুধু চাহিদা বেড়ে যাওয়ার জন্যই বেড়েছে ডিমের দাম।
আজ রোববার কুষ্টিয়া বাজার, জুনিয়াদহ, মথুরাপুর, খোকসা, কুমারখালি, ডাংমড়কা, বাহাদুরপুর এলাকা খবর নিয়ে জানা গেছে, ডিমের দামের হঠাৎ বৃদ্ধি এবং একই কারণে ভোক্তা বা ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি।
আর এসব বাজারগুলোতে মুরগির ডিমের দামের ভিন্নতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের দাম স্থানভেদে অনেকটা একই দেখা গেছে।
খুচরা বাজার অনুসারে মিরপুর এলাকায় মুরগির ডিম হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা ও ডজন ৯৫ টাকা। এদিকে হালিপ্রতি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ও ডজনপ্রতি ১২০ টাকা। ভেড়ামারা এলাকায় মুরড়ির ডিমের হালি ৩০ টাকা ও ডজন ৯০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪০ টাকা ও ডজনপ্রতি ১১৫ টাকা। দৌলতপুর এলাকায় মুরগির ডিমের হালি ৩৩ বা কোথাও ৩৪ টাকা এবং ডজন প্রতি ৯৯ বা ১০০ টাকা। একই এলাকায় হাঁসের ডিম হালিপ্রতি ৪১ টাকা ও ডজন ১২২ টাকা।
বাজার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডিমের দাম বাড়ছে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। জুন মাসের শুরুর দিকে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডিমের হালি ছিল ২৫ টাকা। এমনকি ঈদের সময়ও একই দাম থাকার পর গত ২০ জুনের পর থেকে অর্থাৎ গত সপ্তাহেও মুরগির ডিমের হালি ছিল ২৮ টাকা ও ডজন প্রতি ৮৪ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের হালি ছিল ৩৫ টাকা।
হঠাৎ করে দামের এ বৃদ্ধির কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা ব্যাখ্যা দিতে পারেনি খুচরা ও পাইকারি ডিম বিক্রেতারা। ভেড়ামারায় পাইকারি বিক্রেতা শাহাবুল আলম শাহিন জানান, ডিমের দাম কেন বাড়ছে তা জানি না।