কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মরুকরণ রোধ এবং কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে গঙ্গা কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। এই প্রকল্পের সেচ সুবিধা কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও মাগুরা জেলার মানুষের জন্য আশির্বাদ বয়ে এনেছে। শুক্রবার কৃষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম কথা গুলো বলেছেন।
মিরপুর উপজেলা বারুইপাড়া ইউনিয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন,১৯৫৪ সালে এই চার জেলার ১৩টি উপজেলা নিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতাধীন মোট জমির পরিমাণ ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। বর্তমানে ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।এছাড়া জিকে প্রকল্পটি কৃষকদের সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে। জিকে খালের পানি পাওয়ার মাধ্যমে তারা বেশি বেশি করে ফসল ফলাতে পারেন।
এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমিনুর রশীদ, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জামাল আহমেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজের অধ্যক্ষ মুহা: ফরিদ উদ্দিন, ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলামসহ শতাধীক কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি ভিক্ষুকমুক্ত বারুইপাড়া ইউনিয়ন এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এই ইউনিয়ন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ও কৃষি উন্নত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেন।পরে তিনিসহ অতিথিবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বৃক্ষ রোপণ করেন। এরআগে ভেড়ামারায় কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্প’র উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন।