১৬ বছর অকেজো হয়ে পড়ে আছে জিকে সেচ পাম্পের বিকল্প পাম্প হাউজ। গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মূল পাম্প কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে ৪ জেলার ১৩ উপজেলায় কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। বিকল্প পাম্প হাউজটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানান পাম্প ইনচার্জ।
১৯৬২ সালে কুষ্টিয়ার গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মূল পাম্পের সাথেই গড়ে তোলা হয় বিকল্প পাম্প। পদ্মার পানির লেয়ার যখন নেমে যায় বা মূল পাম্পে কোন সমস্যা দেখা দিলে কৃষকদের সেচ কাজ স্বাভাবিক রাখতে নির্মাণ করা হয় বিকল্প পাম্প। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় বিকল্প পাম্পটি। এরপর থেকে গত ১৬ বছর ধরে অকেজো। প্রতি বছরই মূল পাম্পে কোন সমস্যা বা পদ্মার পানির স্তর কমে গেলেই প্রকল্পের সেচ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে ৪ জেলায় কৃষিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই জমিতে নিরবিচ্ছিন্ন সেচের দাবি জানান কৃষকেরা ।
এক কৃষক জানান, একটা পাম্প খারাপ হয়ে পড়েছে। এটা ঠিক করলে পানি সমস্যা সমাধান হয়ে পড়বে।
অন্য এক কৃষক জানান, যে পাম্পটা নষ্ট সেটা ঠিক করলে আমাদের পানি সমস্যা মিটে। আমরা ভালোভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অচিরেই বিকল্প পাম্প সংস্কার করা হবে বলে জানান কুষ্টিয়া জিকে পাম্প হাউজ নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ১২ পাম্প পুনরায় চালু করার জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। ওনারা এসে এই পাম্পটি কীভাবে চালু করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন।
কুষ্টিয়া জিকে পাম্প হাউজের তথ্য মতে, শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পাম্প চালু হলে পদ্মা নদী থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১৫০০ কিউসেক পানি পাম্প করে মূল ক্যানেলে সেচের জন্য দেয়া সম্ভব হবে ।