রোজার ঈদের আগে কুষ্টিয়া জেলায় হাতে গোনা কয়েকজন রোগী থাকলেও, ঈদের পর পরই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। গত ২০দিনে জেলায় তিনশোর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এ অবস্থায় নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি, পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সচেতনতামূলক কাজ করছে প্রশাসন।
ঈদের আগে মার্কেট খোলা ও বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসায় কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। ঈদের আগ পর্যন্ত জেলায় যেখানে রোগী ছিল ৪৫ জনের মত সেখানে ঈদের পরে সে সংখ্যা এখন সাড়ে তিনশোর বেশি।
রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও সাধারন মানুষ এখনো অসচেতন। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহার পাশাপাশি মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। অবশ্য সাধারন মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।
কুষ্টিয়া জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সবুজ হাসান বলেন,’মাস্ক আছে কিন্তু পরছেন না তাদেরকে আমরা জরিমানা করছি। যারা মাস্ক বিহীন চলাফেরা করছেন, যাদের মাস্ক নাই তাদেরকে আমরা মাস্ক কিনে দিচ্ছি।’
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, ‘আমরা লিফলেট আগে থেকেই বিতনণ করছি। আগের থেকে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে এবং শতভাগ না হলেও এখন বাইরে বেরুতে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে।’
এদিকে, রোগীর সংখ্যা বাড়ায় নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে পরীক্ষা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। তবে এক্ষেত্রে কীট সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানালেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান,’যেহেতু এখন রোগী বেড়েছে তাই স্যাম্পল বেশি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কিট সঙ্কটের কারণে শুধুমাত্র যাদের উপসর্গ আছে তাদের নমুনা কেবল আমরা সংগ্রহ করছি।’
সিভিল সার্জন বলেন, জুন মাসে রোগী বাড়বে—এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। এ জন্য ঈদের কেনাকাটা ও দোকানপাট বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি তেমন মেনে চলেননি। এর খেসারত এখন দিতে হচ্ছে।
পিসিআর ল্যাবে কুষ্টিয়ার পাশাপাশি মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার পরীক্ষাও হচ্ছে।
এদিকে কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো বহিরাগত বাদে ৩৯৫ জনে। মারা গেছেন ৪ জন।
Discussion about this post